আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

যেভাবে সাবরিনা-আরিফের গোপন প্রতারণা ফাঁস হলো

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-১২ ১৬:৪১:০৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: জেকেজি হাসপাতাল কর্তৃক করোনার ভুয়া রিপোর্ট তৈরির ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ডিএমপির তেজগাঁও উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশিদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

কীভাবে আজকের এই অবস্থা ডা. সাবরিনার? চিকিৎসক হয়েও অসৎ কাজেও জড়িয়ে পড়েন কেন? আর ঘটনা ফাঁস হলোইবা কীভাবে? 

জেকেজিতে চাকরি করতেন নার্স তানজিনা পাটোয়ারি ও তার স্বামী হুমায়ূন কবির। তানজিনার বেতন ছিল ৩০ হাজার টাকা। ভুয়া করোনা পরীক্ষা করে কোটি কোটি টাকা কামানো দেখে তানজিনা দাবি করেন তার বেতন বাড়িয়ে দিতে হবে। বিষয়টি জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরী তানজিনা ও তার স্বামীকে চাকরিচ্যুত করেন।

পরে তারা দু’জন বাসায় বসে করোনার ভুয়া টেস্টের সনদ বাণিজ্য চালান। তানজিনা নমুনা সংগ্রহ করতেন আর ঘরে বসে তার স্বামী রিপোর্ট তৈরি করতেন।২৩ জুন রাতে তানজিনা পাটেয়ারি ও তার স্বামী গ্রেফতার হওয়ার পর বেরিয়ে আসে জেকেজির প্রতারণার রহস্য। তার পরদিন ২৪ জুন জেকেজির গুলশান অফিসে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতারক আরিফ চৌধুরীকে।

ওইদিনই প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মী আরিফকে ছাড়িয়ে নিতে তেজগাঁও থানায় জড়ো হন। তারা থানার বাইরে হট্টগোল করতে থাকেন। আটক করা হয় ১৮ জনকে। এ ঘটনায় পৃথক একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আরিফ চৌধুরীসহ ৬জনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। দু’জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়।

সৌজন্যে : কালের কণ্ঠ
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জুলাই ২০২০/ডেস্ক/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন