Sylhet View 24 PRINT

বাংলার বস : ৩০ লাখ দাম উঠেও বিক্রি ১০ লাখে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৭-৩০ ১৮:২৯:২৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: গাবতলী পশুর হাটসহ সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী যশোরের ‘বাংলার বস’ বিক্রি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ১০ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় গরুটি। বিষয়টি   নিশ্চিত করেন এর মালিক মো. আসমত আলী গাইন।

এর আগে দুপুরে ‘বাংলার বস’ ও ‘বাংলার সম্রাট’ নামক দুটি গরু বিক্রি করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছিলেন গরুর মালিক মো. আসমত আলী গাইন। অবশেষে বিক্রি হলো ‘বাংলার বস’।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছিলেন, ‘গরু নিয়ে আমি খুব বিপদে আছি। এদের ব্যয় আমি আর নির্বাহ করতে পারছি না। প্রতিদিন দুই হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘হয় আপনি কোরবানির জন্য নেন, নয় আমার গরু দুটি বিক্রির ব্যবস্থা করে দিন। আমি তো আপনার দেশের নাগরিক’।


এদিকে ২০ লাখ টাকা দাম চাওয়া ‘বাংলার সম্রাট’ এখন ১২ লাখ টাকা হলে বিক্রি করে দেবেন বলে জানান তিনি। আসমত আলী বলেন, ঈদের আর মাত্র দুদিন। গরু বিক্রি করতে না পারলে আমি দেনা পরিশোধ করতে পারব না।

প্রতি বছরই কোরবানির পশুর হাটে চমক হিসেবে থাকে বিশেষ কিছু গরু। ওজন, সাইজ ও দামের কারণে আলোচনায় থাকে পশুর হাটে আসা এসব পশু। এবারও ব্যতিক্রম ঘটেনি। কয়েক দিন আগে ‘বাংলার বস’ ও ‘বাংলার সম্রাট’ আসে গাবতলী হাটে।

জানা গেছে, প্রথম অবস্থায় দুই গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলার বসের দাম নির্ধারণ করেন ৫০ লাখ টাকা। ব্যাপারীরা ৩০ লাখ পর্যন্ত দাম উঠিয়েছিলেন। গরুর ওজন সম্পর্কে একেক সময় একেক কথা বলা হলেও গতকাল (২৯ জুলাই) ফিতা দিয়ে মেপে দেখা গেছে, বাংলার বসের ওজন এক হাজার ২৯৫ কেজি এবং বাংলার সম্রাট ৯৭৭ কেজি (লাইফ ওয়েট)।


খামারি আসমত আলী গাইন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামের মৃত রজব আলী গাইনের ছেলে। ২৫ বছর ধরে তিনি গরু লালন-পালন করেন। মীম ডেইরি ফার্ম নামে তার খামারে ইতোপূর্বে দুধের গাভি পালন করে আসছিলেন। গত বছর শখের বশে উন্নত জাতের এঁড়ে গরু কিনে সুষম খাদ্য, উপযুক্ত চিকিৎসা, নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করেন।

খামারি আসমত আলী গাইন জানান, গত বছর কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে যশোরের নিউমার্কেট এলাকার হাইকোর্ট মোড়ের খামারি মুকুলের কাছ থেকে ‘বাংলার বস’ কেনেন ১৭ লাখ টাকায়। আর ‘বাংলার সম্রাট’ কেনেন আট লাখে।

দানাদার ও তরল খাদ্য হিসেবে খৈল, গম, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুসি, চিটাগুড়, ভেজানো চাল, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুঁড়া মিলে দিনে দুবার মোট ৮০ থেকে ৯৫ কেজি খাদ্য খাওয়ানো হয়। এছাড়া নিজের প্রশিক্ষণ থাকায় তিনি নিজেই গরুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা চিকিৎসা করে থাকেন।


সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/৩০ জুলাই ২০২০/ডেস্ক/জিএসি

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.