Sylhet View 24 PRINT

পিঁয়াজ কারসাজিতে জড়িতদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২১ ০০:৩১:০৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ভারত পিঁয়াজ রপ্তানিতে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে যারা পণ্যটির দাম বাড়িয়েছেন তাদের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)। তখন যারা নিজেদের মোকামে অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই অসৎ কুচক্রী ব্যবসায়ী মহল অতি মুনাফার লোভে সিন্ডিকেট করে পণ্যটির দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। সুনির্দিষ্ট তথ্যের জন্য তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও করবে বিসিসি। তদন্তে যারা দায়ী হবেন তাদের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলের পক্ষে মত দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান। একই সঙ্গে তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর পিঁয়াজের বাজারে কারসাজির জন্য যারা দায়ী ছিলেন তারাই আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তখন তাদের চিহ্নিত করে সতর্ক করা হয়েছিল। কঠোর শান্তির মুখোমুখি হতে হয়নি বলে তারা সেটা আমলে নেননি। ফলে এবার তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ঢাকাসহ সারা দেশের মনিটরিং টিমগুলোকে আবারও সক্রিয় করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। কারসাজিতে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, পিঁয়াজ আমদানিকারকরা কী দামে আমদানি করেছেন আর কী দামে অভ্যন্তরীণ বাজারে বিক্রি করেছেন সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আমদানিকারকরা পাইকারদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক মূল্য আদায় করে থাকলে আমদানিকারকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিসিসির চেয়ারম্যান মুফিজুল ইসলাম বলেন, খুচরা বিক্রেতারা দুই মাস আগের আমদানি করা পিঁয়াজ বিক্রি করছেন। কিন্তু রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘণ্টাখানেক পরই কেন দাম বাড়ানো হলো। এর পেছনে কারা দায়ী। আমরা ঠিক এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছি। এতে যারা  দোষী প্রমাণিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে। যেন পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। আমরা তার একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।  সূত্র জানায়, দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে ইতিমধ্যে ব্যবসায়িক সংগঠন, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং  গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকও করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রতিযোগিতা কমিশন।রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ গতকালও ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। আর দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। অথচ মাত্র ১৫ দিন আগেও এসব পিঁয়াজের দাম ছিল ২৫-৩৫ টাকা কেজি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশের অভ্যন্তরে যথেষ্ট পরিমাণ পিঁয়াজের মজুদও রয়েছে। অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পিঁয়াজের আমদানির ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যা তৎক্ষণাৎ কার্যকর হওয়ার কথা।

পিঁয়াজ আমদানিতে পাঁচ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার : বাজার পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পিঁয়াজ আমদানিতে পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল অর্থমন্ত্রীর দফতর থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, পিঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল। সংকটটি কঠিন আকার ধারণ করেছে। পিঁয়াজের মূল্য সাম্প্রতিক সময় অনেক বেড়েছে। এছাড়া, সম্প্রতি ভারত পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বাজারে পণ্যটির মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। পর্যালোচনায় দেখা যায়, দেশীয় পিঁয়াজ চাষিদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, পিঁয়াজ চাষে উৎসাহ প্রদান এবং আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে পাঁচ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। বর্তমানে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আপদকালীন পিঁয়াজের ওপর আরোপিত ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন পিঁয়াজ আমদানির উপর বিদ্যমান পাঁচ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

সৌজন্যে : বিডিপ্রতিদিন

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১ সেপ্টেম্বর ২০২০/ডেস্ক/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.