আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ ডিজিটাল প্লাটফর্মে নেয়ার ঘোষণা পলকের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২৫ ১৯:১২:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা অফিস:: ‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’ ডিজিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গৌরব ৭১’ আয়োজিত ‘আলোকচিত্র প্রদর্শনী’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থির ছবি ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটা মুহূর্তই ইতিহাসের অংশ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যেমন ঘটনাবহুল জীবন ছিল, তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য এবং তার রাজনৈতিক জীবন, বিরোধী দলের নেতা হিসেবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রতিটি দিনই, প্রতিটি মুহূর্তই ঘটনাবহুল। এই প্রত্যেকটি ছবির মধ্যে লুকিয়ে আছে একেকটি ইতিহাস। আমি বলবো যে এই প্রত্যেকটা ছবি এক একটি ইতিহাসের অংশ।

ছবি প্রদর্শনীর এ উদ্যোদের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের জন্য এবং এই জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন। এই চিত্র প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনেক অজানা ইতিহাস জানানো সম্ভব হবে।তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জন্য কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

বিশ্ব নেতাদের মধ্যে শেখ হাসিনার পার্থক্য তুলে ধরে জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, একটু লক্ষ্য করতে হবে- বিশ্বের ইতিহাসে কিন্তু অনেক রাজনৈতিক নেতা আছেন। যারা সফল রাষ্ট্রনায়ক, সফল সরকারপ্রধান। কিন্তু ব্যক্তি জীবনে একজন আদর্শ সন্তান হওয়া কিংবা মমতাময়ী মা হওয়া বা দূরদর্শী নেতা হওয়া, সবার মধ্যে সেই গুনগুলি থাকে না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার মধ্যেই এই সবগুলো গুনই বিদ্যমান।

পলক আরো বলেন, তিনি একদিকে যেমন সাহসী, দূরদর্শী অপরদিকে মমতাময়ী মা। আবার একজন আদর্শ সন্তান। আজকের চিত্রপ্রদর্শনী যে উদ্যোগ নিয়েছে ‘গৌরব ৭১’। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তরুণ প্রজন্মের সকলকে অনুরোধ করবো তারা যেন এই চিত্র প্রদর্শনী দেখে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন থেকে অনুপ্রেরণায় নেয়।

পলক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে স্থিরচিত্র প্রদর্শনী হবে; এমন খবর পেয়ে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছে। আমি মূলত এই অনুষ্ঠানে এসেছি, অনুপ্রাণীত হওয়ার জন্য এবং ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে এই না বলা ইতিহাসগুলো তুলে ধরার জন্য।

তিনি আরো বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর এই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলেও যাতে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য এই স্থিরচিত্রগুলো যেভাবে রেখে দেওয়া যায়, সেটার ব্যাপারে আয়োজকদের সাথে কথা বলেছি। এই স্থিরটিত্রগুলো ডিজিটাল প্লার্টফর্মের মাধ্যমে ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণে রাখা হবে। এতে ভবিষৎ প্রজন্ম প্রধানমন্ত্রীর শৈশব, রাজনৈতিক, পারিবারিক, আন্তর্জাতিক অঙ্গণের ইহিতাসগুলো জানতে পারবে। এমনকি তা ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, স্থান সংকোলনের কারণে এখানে অনেক ছবি প্রদর্শন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ডিজিটাল প্লার্টফর্মে তো স্থান সংকোলনের কোনো সমস্যা হবে না। তাই সকলের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই ছবিগুলো জিডিটাল প্লাটফর্মে নিয়ে যেতে চাই।আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র সরবোরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী শেষ হবে। আর ওই দিন নতুন ডিজিটাল স্থিরচিত্র পদর্শনীর উদ্বোধন হবে।

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মোৎসব উপলক্ষে ‘গৌরব ৭১’ আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধনমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরবোরতে এ আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ছোট্ট শোনা মনি আরিয়াহ তাজিম প্রাপ্তি। ব্যতিক্রমি ওই উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রীত অতিথিরা কড়তালির মাধ্যমে স্বাগত জানান তাকে।

‘প্রজন্মের প্রার্থনা, শতায়ু হোক শেখ হাসিনা’ স্লোগানে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানটি জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয়। ‘গৌরব ৭১’ এর সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফএম শাহীনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরী, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা, দৈনিক সময়ের আলো'র নির্বাহী সম্পাদক শাহনেওয়াজ দুলাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও ঢাকা কর অঞ্চলের কর কমিশনার আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে সহধর্মীনি আরিফা জেসমিন কনিকাকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সময় নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন তারা। পরবর্তীতে আলোচনা সভায় বক্তব্যও রাখেন এ দম্পতি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০/কেআরএস/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন