আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

বিয়ের দাবিতে 'স্বামীর বাড়ি'তে স্কুলশিক্ষিকার অনশন!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৯-২৮ ১৭:৫৫:৫১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রংপুরের তারাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে তিন দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছেন মুক্তি রানী (২৩) নামে এক স্কুলশিক্ষিকা। কিন্তু প্রেমিকার এমন কর্মকাণ্ডে লোকলজ্জায় প্রেমিক নন্দরাজ বাড়ি ছেড়ে গাঢাকা দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নে।

প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ও শ্যামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার রায়ের পুত্র নন্দরাজ রায়ের (২৬) সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন পার্শ্ববতী নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার কেল্লাবাড়ি বাবুপাড়া গ্রামের ভুপেন্দ্র নাথ রায়ের কন্যা মুক্তি রানী (২৩)। তিনি আবার তারাগঞ্জ জিকেএস স্কুল ও কলেজের সহকারী শিক্ষিকা। ওই প্রেমিক-প্রেমিকা তাদের ভালোবাসার বন্ধন পাকাপোক্ত করতে প্রায় এক বছর আগে গোপনে আদালতে এফিডেফিট করে বিয়ে করেন। কিন্তু এর মধ্যে গত প্রায় তিন মাস থেকে হঠাৎ প্রেমিক নন্দরাজ প্রেমিকা মুক্তি রানীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। শত চেষ্টায় মুক্তি রানী নন্দকে নাগালে নিতে পারছিলেন না। পরে কোনো উপায় না পেয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষিকা প্রেমিক নন্দরাজের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। এ অবস্থায় নন্দরাজ বাড়ি থেকে সটকে পড়েন।

নন্দরাজের পিতা অনন্ত রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ছেলে যাই করুক না কেন। এই মেয়েকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। অন্যদিকে মুক্তি রানীর সাথে কথা হলে সে জানায়, আমাকে নন্দরাজ কোর্টে নিয়ে বিয়ে করেছেন। কিন্তু এর মধ্যে সে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অনেক চেষ্টার পরেও তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলাম না। এ কারণে বাধ্য হয়ে আমি স্ত্রীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই নন্দরাজেই বাড়ি এসেছি। তার বাড়িতে বউ হিসাবেই থাকব।

'অভিযুক্ত' নন্দরাজের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, প্রেমিকা মুক্তি রানীকে কোর্টে নিয়ে বিয়ে করেছি এটা ঠিক। কিন্তু ওর সাথে কথা ছিল আগে নিজের পায়ে দাঁড়াই, পরে বাড়িতে নেব। কিন্তু মুক্তি এর আগেই বাড়িতে চলে আসবে ভাবতে পারিনি।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০/ কালের কণ্ঠ  / জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন