আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মাদকের টাকার জোগান দিতে না পারায় দুই মা বাড়িছাড়া!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১০-২৪ ১৮:৫৭:৫৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চুয়াডাঙ্গার সুলতানা রাজিয়া ও আহিনুর বেগমের মধ্যে চেনাজানা না থাকলেও একই শহরে বসবাস করেন দুইজন। দুইজনের পরিণতিও হয়েছে এক। নিজেদের বাড়িঘর সব থাকলেও তাদের সেখানে জায়গা হয়নি। মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে দুই সন্তান। পৃথক দুটি ঘটনায় মাদকাসক্ত সন্তানদের বিরুদ্ধে আদালতে পৃথক মামলাও করেছেন দুই মা। তারপরও নিরাপত্তা পাচ্ছেন না তারা।

এদের একজন আহিনুর বেগম চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সাদেক আলী মল্লিকপাড়ার হাশেম আলীর স্ত্রী। ২১ অক্টোবর তার ছেলে শাহিন শেখ ও পুত্রবধূ ময়না খাতুনের নামে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় উল্লেখ করা করা হয়েছে- ছেলে শাহিন শেখ মাদকাসক্ত। তার নেশার টাকার জোগান দিতে না পেরে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে এই মাকে।

শুধু বাড়িই ছাড়তে হয়নি, ছেলের হাতে মারও খেতে হয়েছে তাকে। চাহিদামতো টাকা দিতে না পারায় মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ হয় ছেলে শাহিন শেখ। একপর্যায়ে মাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় শাহিন। ঘরে থাকা মায়ের ৫০ হাজার টাকার সাংসারিক জিনিসপত্রও বিক্রি করে দেয় সে। এ মামলায় শাহিন শেখের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

অপরদিকে সুলতানা রাজিয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার মৃত হারুন অর রশিদের স্ত্রী। ছেলে সুলতান আহমেদ প্রায়ই তার মাকে মারধর করে। ঘরে থাকা প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র বিক্রি করে দেয় সে। এ ঘটনায় গত ১১ অক্টোবর ছেলে সুলতান আহমেদের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন সুলতানা রাজিয়া। ১৮ অক্টোবর পুলিশ সুলতান আহমেদকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালত থেকে সে জামিনে মুক্ত হয়। এর তিন দিন পর বাড়ির আঙিনায় থাকা প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের ফলজ গাছ কেটে বিক্রি করে দেয় সুলতান। এ বিষয়েও শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশি তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ অক্টোবর ২০২০ /যুগান্তর /জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন