আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

১০ বছরে ঢাকায় মোটরসাইকেল বেড়েছে সাড়ে ৫ লাখ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-১০-২৫ ১৯:৪৭:৩২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: যানজটের নগরী ঢাকায় দিন দিন মোটরসাইকেলের ব্যবহার বাড়ছে। ১০ বছরের ব্যবধানে রাজধানীতে বৈধ মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে ২৬৮ শতাংশ। ২০১৬ সাল থেকে রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা এমনভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল পর্যন্ত ঢাকায় নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৮১টি। ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৭৩ হাজার ১৭০টিতে।

এ হিসাবে ১০ বছরের ব্যবধানে ঢাকায় বৈধ মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৮৯টি। এই মোটরসাইকেল বাড়ার হার ২৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে শেষ চার বছরেই ঢাকায় বৈধ মোটরসাইকেল বেড়েছে তিন লাখ ৩৫ হাজার ৮৪৪টি।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে ২০১৬ সাল থেকে। এ সময় থেকেই দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে রাইড শেয়ারিং। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যেখানে ঢাকায় বছরে ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হচ্ছিল, সেখানে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মত নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সংখ্যা অর্ধলাখ ছাড়িয়ে যায়। বছরটিতে নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয় ৫৩ হাজার ৭৩৮টি।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এর সংখ্যা। ২০১৭ সালে ঢাকায় নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয় ৭৫ হাজার ২৫১টি। আর ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো নতুন নিবন্ধন নেয়া মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় এক লাখ। বছরটিতে নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয় এক লাখ চার হাজার ৬৪টি।

ঢাকায় মোটরসাইকেল বাড়ার হার অব্যাহত থাকে পরের বছরেও। ২০১৯ সালে এ নগরে নতুন নিবন্ধন নেয়া মোটরসাইকেলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৯ হাজার ২৫৬টি। আর চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে ৫৭ হাজার ২৭৩টি।

অবশ্য মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে চলতি বছর দুই মাসের বেশি সময় ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থবির ছিল। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ফলে এ সময় বন্ধ ছিল নতুন মোটরসাইকেল নিবন্ধন।

যোগাযোগ করা হলে হোন্ডার সেলস এক্সিকিউটিভ মো. সোহাগ গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে সরকার যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল, সে সময় আমাদের শো রুম বন্ধ ছিল। লকডাউনের পর সবকিছু খুলে দেয়া হলে আমাদের বিক্রি বেশ বেড়ে যায়। তবে চলতি মাসে বিক্রি কিছুটা কম হয়েছে।

প্রায় একই কথা বলেন উত্তরা মটরস লিমিটেডের মালিবাগ চৌধুরী পাড়া বাজাজ পয়েন্টের এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, লকডাউনের পর মোটরসাইকেলের বিক্রি অনেক বেড়ে যায়। আমাদের প্রত্যাশা যা ছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি বিক্রি হয়েছে গত চার মাসে।

তিনি বলেন, এক সময় ঢাকায় মোটরসাইকেলের সংখ্যা তুলনামূলক কম ছিল। তবে রাইড শেয়ারিং চালু হওয়ার পর মোটরসাইকেলের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যায়। এছাড়া যানজট এড়ানোর জন্য অনেকে প্রাইভেটকার ছেড়ে মোটরসাইকেলের দিকে ঝুঁকেছেন। মূলত এসব কারণেই দিন দিন মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়লেও গত কয়েক বছরে ঢাকা মহানগরে নতুন মাইক্রোবাসের সংখ্যা কমেছে।

বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ঢাকায় নতুন মাইক্রোবাস নিবন্ধিত হয় পাঁচ হাজার ১৫৯টি। যা ২০১৭ সালে কমে দাঁড়ায় চার হাজার ৯২৭টিতে। পরের বছর ২০১৮ সালে তা আরও কমে তিন হাজার ৫৮৫টিতে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালে তা আরও কমে তিন হাজার ২৪১টিতে দাঁড়ায়। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন মাইক্রোবাস নিবন্ধিত হয় এক হাজার ৬০৪টি।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৫ অক্টোবর ২০২০ /জাগো নিউজ /জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন