আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া, জামিন পেলেন সেই তুফান সরকার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-১৭ ২১:১৪:৩৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৭ জানুয়ারি) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক একে এম ফজলুল হক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

পৌনে চার বছর পর আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার জামিন পেলেন। তিনি বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক ছিলেন।

এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মোন্নাফ, নুরুস সালাম ও রবিউল ইসলাম।

আইনজীবী আবদুল মোন্নাফ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারাধীন থাকা মামলায় তার মক্কেল তুফান সরকার জামিন পেয়েছেন।

চুল কেটে দেয়া ও মা-মেয়েকে নির্যাতনের অপর মামলায় তুফান সরকার জামিনে রয়েছেন কি-না, জানতে চাইলে আইনজীবী কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নরেশ মুখার্জি বলেন, ‘রোববার ধর্ষণ মামলার জামিন শুনানির সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তুফান সরকারের জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে তাকে জামিন দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘মামলার প্রধান সাক্ষী বাদী নিজেই। এছাড়া ভিকটিম মেয়েটিও মামলার অন্যতম সাক্ষী। রোববার প্রধান আসামির জামিন শুনানির আগে মামলার গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়।’

‘তুফান সরকার মামলার পর থেকেই কারাগারে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মা-মেয়েকে নির্যাতনের পর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রয়েছে। সেই মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন কি-না, তা তার জানা নেই। আলোচিত এই ঘটনায় তুফান সরকার ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা আগে থেকেই জামিনে রয়েছেন।’

আদালত সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এই মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকারসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এ কে এম ফজলুল হক। এই আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আসামিপক্ষ আবেদন করলে ২৭ ফেব্রুয়ারি সেই আদেশ খারিজ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে, ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বহাল রাখেন।

অভিযুক্ত ১০ আসামির মধ্যে প্রধান আসামি তুফান সরকার ছাড়া অন্যরা হলেন- তুফানের স্ত্রী তাছমিন রহমান ওরফে আশা, আশার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান ওরফে রুমকি, তুফানের শাশুড়ি লাভলী রহমান ওরফে রুমি, তুফানের সহযোগী আতিকুর রহমান ওরফে আতিক, মুন্না, আলী আযম, মেহেদী হাসান ওরফে রুপম, সামিউল হক ওরফে শিমুল ও এমারত আলম খান ওরফে জিতু।

তুফান সরকার ছাড়া অন্যরা আগে থেকে দুই মামলাতেই জামিনে রয়েছেন।

২০১৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বৈত বেঞ্চ আলোচিত এই ধর্ষণ মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে মা-মেয়েকে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় গত বছর ২০২০ সালের ৭ নভেম্বর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ শাহরিয়ার তারিকের আদালত ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।



সিলেটভিউ২৪ডটকম / জাগো নিউজ / জিএসি-১৯

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন