আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

পতিতাবৃত্তির মামলা মানবপাচার আইনে, পুলিশ কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-২৫ ২০:২০:২১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: চট্টগ্রামের পাচঁলাইশ মডেল থানার এস আই কাজী মাছুমের রহমানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। জোর করে এবং প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগে জড়িতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা না করে মানবপাচার আইনে মামলা করার কারণ ব্যাখ্যা করতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। সংশ্লিস্ট মামলায় হাসিনা ও পলি আক্তার নামের দুই নারী আসামির জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আদালতে আসামিকে পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অশোক কুমার বনিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ মডেল থানার মোহাম্মদপুরে আবেদ মঞ্জিল নামের একটি ভবনে জনৈক হাসিনা ও পলি আক্তার নামে দুইজন নারী দেহ ব্যবসা শুরু করেন। তারা প্রলোভন দেখিয়ে গার্মেন্টসের নিরীহ নারী শ্রমিকদের এনে পতিতাবৃত্তি করাতো। কাউকে কাউকে জোরপূর্বক এ কাজে বাধ্য করতো। বিষয়টি নজরে আসার পর গত বছরের ৭ নভেম্বর পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। আর পলি আক্তার ও হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে পাচঁলাইশ মডেল থানায় মানবপাচার আইনে মামলা করেন এস আই কাজী মাছুমের রহমান। কিন্তু আদালত মনে করেন, মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৫ ধারায় করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা না করে মানবপাচার আইনে করা হয়েছে। এ কারনে আদালত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সংশ্লিস্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/ কালের কণ্ঠ /জিএসি- ১৩

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন