Sylhet View 24 PRINT

কাজ না করেই অর্ধকোটি টাকা উত্তোলন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০২-২২ ১৯:১২:০৯

সিলেটভিউ ডেস্ক ::  কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ শেষ না করে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার এবং ঠিকাদার ৫৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান ও দাউদকান্দি উপজেলা কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সেলিম শেখেরের কার্যালয়ে তদন্তকালে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা প্রকৌশলী অফিস টাকা উত্তোলন করা এবং জাল স্বাক্ষরের দোষ স্বীকার করেছেন।

অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলীর অধীন পিইডিপি-৪ এর অধীন মেজর মেনটেনেন্সের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে দশটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয় মেসাস খাজা গরিবে নেওয়াজ ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং মেসার্স এম আই কনস্ট্রাকশন কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইলেটগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ লাখ, নৈয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ লাখ, তিন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ লাখ, গোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬ লাখ, টামটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬ লাখ, তালেরছেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ লাখ, বাজরা সরকারি বিদ্যালয় ৬ লাখ ৪৫ হাজার, চরগোয়ালী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬ লাখ, জিংলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ লাখ। জিংলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ লাখ।

মেসার্স এম আই কনস্ট্রাকশন চারটি বিদ্যালয়ের শতকরা ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হলেও মেসার্স খাজা গরিবে নেওয়াজ ট্রেড অর্গানাইজেশন ৪০ ভাগ কাজ না করেই উপজেলা তৎকালীন প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী আহসানের যোগসাজশে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর জাল করে অর্ধ কোটি টাকার উপরে উত্তোলন করে নিয়ে যায়।

বাজরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল খান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান যে সিডিউল দেওয়া হয়েছে তা ৪০ ভাগ কাজ করেনি। কাজ না করে আমার এবং সভাপতির এর স্বাক্ষর জাল করে তারা ছাড়পত্র দিয়ে টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। তাই আমরা অভিযোগ করেছি।

মেসার্স খাজা গরিবে নেওয়াজ ট্রেড অর্গানাইজেশন মো. রমজান বলেন, বিষয়টি আমাদের ভুল হয়েছে। তাই আমরা অসম্পূর্ণ কাজগুলা শেষ করে দেব।

এ ব্যাপারে তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের বলেন বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক থানা ইঞ্জিনিয়ার আলী আহসান এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যোগসাজশে এই প্রতারণা কাজটি করেছেন এই বিষয়ে আমি দায়ী নই।

দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আগের প্রকৌশলী যা করেছে সেই দায়ভার আমি নেব কেন? আমার সময় যদি অন্য কিছু ঘটে সেটা আমি দেখব।

দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও তদন্ত কমিটির প্রধান মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশলী দশটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির উপস্থিতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের ভুল স্বীকার করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ কালের কণ্ঠ /জিএসি-০৬

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.