আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

'শায়েস্তা' করতে গিয়ে খুন হলো মেয়েটি! হাসপাতালের লিফটে লাশ ফেলে পালাল দুই যু্বক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৩-০২ ২০:৩৩:৫২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কলেজছাত্রীর লাশ ফেলে পালাল বখাটে দুই যুবক। প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় রিমু (২০) নামের ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের লাশ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রয়েছে।
 
নিহতের স্বজনরা জানান, নীলফামারী জলঢাকার কচুকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা রুবাইয়া ইসলাম রিমু রংপুর কারমাইকেল কলেজে বাংলা বিভাগে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনাকালে কলেজ বন্ধ থাকায় রিমু নিজ বাড়িতে থেকে পার্শ্ববর্তী টেঙ্গনমারী বাজারে প্রাইভেট পড়াতেন। সেখানে যাতায়াতের সময় রিমুকে প্রতিদিন উত্যক্ত করতেন স্থানীয় কচুকাটা ইউনিয়নের আব্দুল্লাহ হোসেনের ছেলে ফয়সাল (২৪)। ঘটনাটি রিমু তার বাবা ও বড়ভাইকে জানালে বড়ভাই ফয়সালকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিমুকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন ফয়সাল।
 
গত সোমবার সকাল ১১টায় প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়ি ফেরার পথে ফয়সাল ও একই এলাকার জাহিদুল হোসেন মাস্টারের ছেলে রিজভী (২৪) জোর করে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে রিমুকে জলঢাকার রাজারহাট বাজারের অদূরে একটি ফাঁকা ব্রিজের কাছে চলন্ত অবস্থায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়রা তাদের আটকে রিমুকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বাধ্য করেন। পরে ফয়সাল ও রিজভী রিমুকে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে রিমুর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যায় রিমুকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে লিফটে রিমু মারা গেছেন নিশ্চিত হয়ে লাশ ফেলে পালিয়ে যান দুই যুবক। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ হিমঘরে রাখে।
 
রিমুর নানা আবু তালেব বলেন, আমার নাতনীকে প্রতিদিনই ফয়সাল ও রিজভী উত্যক্ত করতো। রিমুর বাবা তাদের শাসন করায় ক্ষোভে পরিকল্পিতভাবে রিমুকে হত্যা করেছে তারা। আমি ফয়সাল ও রিজভীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
 
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, নিহতের বাবা আব্দুর রাজ্জাক থানায় মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রংপুরে নিহতের লাশের ময়নাতদন্তসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা হবে।



সিলেটভিউ২৪ডটকম/ কালের কণ্ঠ /জিএসি-২২

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন