Sylhet View 24 PRINT

অপরাধী জামাল, সাজা খাটলো কামাল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৩-০৩ ২১:১৬:১৭

প্রতীকী ছবি

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর মাদক আইনে দুই ব্যক্তিকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন কুমিল্লার একটি আদালত। তারা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দির আলমগীর হোসেন ও নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুরের জামাল হোসেন। রায় ঘোষণার সময় জামাল হোসেন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের জন্য কুমিল্লার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ পাঠানো হয়।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সেই কাগজ যায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায়। কিন্তু থানা থেকে 'জামাল' এর নাম ঘষামাজা করে 'কামাল' লিখে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর কামাল হোসেনকে সাজা ভোগের জন্য কুমিল্লা পাঠানো হলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। সেখানে গিয়ে জানা যায়, সাজাপ্রাপ্ত প্রকৃত ব্যক্তির নাম জামাল হোসেন। তবে জামাল ও নিরপরাধ কামাল উভয়ের বাবার নাম সুরুজ মিয়া।

এর আগে কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর তাকে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল মোহসীনের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ কপিতে উল্লেখ রয়েছে, 'রাষ্ট্র বনাম জামাল হোসেন গং'। কিন্তু একই আদেশের নিচের অংশে আসামি হিসেবে কামাল হোসেনের নাম লেখা রয়েছে।

কুমিল্লার যে মাদক মামলার রায়ে কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ওই মামলায় কামাল হোসেন নামে কোনো আসামিই নেই। আর ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল ঘটনার সময় কামাল হোসেন দক্ষিণ কোরিয়ায় ছিলেন। নয় দিন কারাভোগের পর কামাল হোসেন কুমিল্লার যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালত থেকে জামিন পান।

আদালত কামালের হোসেনের জামিনের আদেশে উল্লেখ করেন, 'কামাল হোসেন নামে কোনো আসামি এই মামলায় নেই। জামাল হোসেনের নাম ওভাররাইটিং করে কামাল হোসেন করা হয়েছে।' বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।

বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে ঘটনার শিকার কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করে সদর মডেল থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে পরিকল্পিতভাবে হয়রানির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, জামালের নামের আদ্যক্ষর 'জ' এর স্থলে ঘষামাজা করে 'ক' লিখে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় সদর মডেল থানা পুলিশ তার কাছে শুধু তার নাম ও বাবার নাম জানতে চেয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কোনো কাগজ দেখায়নি।

অভিযোগের বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি শাহ জামান বলেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। কেন হয়েছে, সেটি তিনি খতিয়ে দেখবেন।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, এ বিষয়ে এখনও তিনি আদালতের চিঠি বা আদেশ পাননি। চিঠি পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সিলেটভিউ২৪ডটকম/ সমকাল /জিএসি-২২

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.