আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

করোনা রোগীর চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে ওয়ার্ড বয়কে মারধর

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-১৭ ২২:২৯:০৯

সিলেটভিউ ডেস্ক :: নাটোরে এক করোনা রোগীকে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোগীর স্বজনেরা নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয়কে মারধর করেছে।

এ সময় হাসপাতালের সব নার্স ও ওয়ার্ড বয় একত্রিত হয়ে মারধরকারী ব্যক্তিকে পাল্টা মারপিট করে দুই নারীসহ তিনজনকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। পরে নাটোর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

শনিবার সকালে নাটোর শহরের উপরবাজার এলাকার সেলিম মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে তার স্বজনরা করোনা উপসর্গ নিয়ে নাটোর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এ সময় রোগীর অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার সিন্ধান্ত নেন।

রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতির সময় রোগীর আত্মীয় উপল এবং দুইজন মহিলা চিকিৎসায় অবহেলা ও বিলম্ব করার অভিযোগ এনে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে এবং অশালীন উক্তি করতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় সেলিম প্রামাণিক প্রতিবাদ করলে উপল এবং দুজন মহিলা মিলে তাকে মারধর শুরু করে।

এ সময় হাসপাতালের সব ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ড বয়রা একত্রিত হয়ে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে ওই তিনজনকে আটক করেন এবং উপলকে পাল্টা মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। সংবাদ পেয়ে নাটোর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপলসহ দুই মহিলাকে উদ্ধার করে।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার ঘোষ এবং পুলিশের কর্মকর্তা নাটোর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল মতিন ও ডিবির এসআই লিটন কুমার দাসের উপস্থিতিতে প্রথম হামলাকারী রোগীর স্বজন যুবক উপল ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

এ বিষয়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার ঘোষ বলেন, তিনি ঘটনা জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ আসার পরে সব কিছু শুনে উপলের দোষ প্রমাণিত হলে উপল ক্ষমা প্রার্থনা করায় বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রয়েছে।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/ যুগান্তর / জিএসি-০৪

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন