আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মামুনুল হককে নিয়ে যত বিতর্ক

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-১৮ ১৯:০৭:২৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এখন আলোচিত নাম। রবিবার তাকে মোহাম্মদপুরে তার মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনায় ছিলেন খেলাফতে মজলিসের এই মহাসচিব।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে ‘নারীসহ’ বেড়াতে গিয়ে স্থানীয় জনগণের হামলার মুখে পড়েছেন মামুনুল হক। রিসোর্টের ৫ম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। যদিও মামুনুল হকের দাবি ওই নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা তার বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে অবশ্য এনিয়ে একেক সময় একেক ধরনের আলোচনা সামনে আসে। যদিও এসব বিতর্কের কোনোটিই মানতে রাজি নন মামুনুল হক। এনিয়ে একাধিকবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ এই নেতা।

রিসোর্টকাণ্ডের পর একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কথোপকথনের একাধিক অডিও ফাঁস হয়। এরপর আরও এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের তথ্য ফাঁস হয়।

পরবর্তীতে ফেসবুক লাইভে তিনি জানান, দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়েই তিনি সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে যান। তবে বিষয়টি তার প্রথম স্ত্রী জানতেন না।

তবে তার দল খেলাফতে মজলিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, দ্বিতীয় বিবাহের কথা দলীয়ভাবে অজানা ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে মামুনুল হক আগে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।

মামুনুল হক আলোচনায় আসেন মূলত হেফাজতে ইসলামকে কেন্দ্র করেই। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার পর তিনি গ্রেপ্তার হন। বেশ কয়েক মাস কারাভোগের পর বেরিয়ে এসে তিনি সারা দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এরপর থেকেই মূলত দেশব্যাপী বিভিন্ন মাহফিলে তার চাহিদা বেড়ে যায়। কয়েক মাস আগে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে তার মাঠ গরম করা কিছু বক্তৃতায় তিনি সরকারবিরোধী বলয়ের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা পান।

এছাড়া আল্লামা শাহ আহমদ শফীর ইন্তেকালের আগে মামুনুল হক বাবুনগরী বলয়ের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। হেফাজতের নতুন কমিটিতে তিনি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের পদ পান। এছাড়া তাকে ঢাকা মহানগরীর কমিটির মহাসচিবও করা হয়। নতুন কমিটিতে মামুনুল হক প্রভাব খাটিয়ে নিজের পদ ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ অনেককে জায়গা করে দেন বলে প্রচার আছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ডিজেএস-১২

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন