আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

নতুন ঠিকানায় সেই হলি আর্টিজান

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-১২ ০০:৪২:৪৮

গুলশানের সেই হলি আর্টিজান বেকারি আবারও খুলেছে। তবে নতুন ঠিকানায়, ছোট্ট পরিসরে। গুলশান এভিনিউর র্যাংগস আর্কেডের দ্বিতীয়তলায় গতকাল থেকে এই বেকারিটির নতুন যাত্রা শুরু হলো। নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হওয়া হলি আর্টিজান বেকারি দীর্ঘ ছয় মাস বন্ধ থাকে। হলি আর্টিজানের একটি সূত্র জানিয়েছে, আগেকার রেস্তোরাঁটিতে দুই হাজার বর্গফুট জায়গা ছিল। একসঙ্গে সেখানে বসতে পারতেন ৫০ জন অতিথি। ৫০০ বর্গফুটের নতুন ঠিকানায় এখন আপাতত ২০ জন অতিথি একসঙ্গে বসতে পারবেন। গত বছরের ১ জুলাই রাতে সশস্ত্র জঙ্গিরা গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঢুকে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত?্যা করে। এর আগে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযানের পর ওই রেস্তোরাঁর নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় সব জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গি হামলা ও কমান্ডো অভিযানের কারণে বেকারির সীমানা  দেয়াল ও ভবনের বেশির ভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়; ভিতরে থাকা মালামালও নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি হলি আর্টিজানের ফেসবুক পেজে  বেকারিটি নতুন ঠিকানায় খোলার ঘোষণা দেওয়া হয।

দুপুরে বেকারিতে গিয়ে  সেখানকার কর্মীদের খাবার সাজানো, নতুন জায়গার সাজসজ্জা প্রভৃতি কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। ওই কর্মকর্তা জানান, আগের মতো হয় তো খোলামেলা রেস্তোরাঁটি করা যাচ্ছে না। হামলায় প্রায় বিধ্বস্ত হয় হলি আর্টিজান। রাস্তার শেষ প্রান্তে লেকের পাশে হলি বেকারি হামলার আগে থাকত প্রাণোচ্ছল মানুষের আনা-গোনায় সরব। গুলশান এলাকার বিদেশিদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় ওই ক্যাফে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও ছিল পছন্দের গন্তব্য। ওভেন থেকে বের করা গরম রুটি আর বেকারির খাবারের জন্য সকালেই সেখানে হাজির হতেন অনেকে। বিকালে সবুজ লনে চলত তাদের আড্ডা। পোষা-প্রাণীদের প্রবেশাধিকার থাকায় অনেকেই শখের প্রাণীটিকে সঙ্গে করে নিয়ে বেকারিতে যেতেন। সবুজ মাঠে খেলত শিশুরা। স্থানীয় ক্যাফে-রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে হলি আর্টিজান বেকারিতে বিদেশিদের আনা-গোনা ছিল বেশি। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পুরো প্রাঙ্গণ ভরা থাকত। সবুজ লনে চাদর বিছিয়ে রোদও পোহাতেন অনেকে, ঢাকায় যে দৃশ্য প্রায় বিরল ছিল। ওই কর্মকর্তা বলেন, গুলশানের নতুন ঠিকানায় চালুর পাশাপাশি ধানমন্ডি ও মতিঝিলেও শাখা খোলার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন