আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-১২ ১৫:২২:৫৮

সিলেটভিউ ডেস্ক ::  গত অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে দেশটির বিশেষ দূত আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সুচির বিশেষ দূত উ চ থিনের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনার বিষয়ে জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার নিজ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মাহমুদ আলী বলেন, ‘তাদের আগ্রহ দেখছি। তাদের আন্তরিকতায় আমরা আশাবাদী।’ তিনি জানান, মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির নেত্রী অং সান সুচিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল হয়েছে ১৯৭৮ সালে। এরপর নানা সময় রোহিঙ্গারা অত্যাচার-নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। গত অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা বেড়েছে।

বাংলাদেশে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারির মধ্যও গত তিন মাসে ৬৫ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এই অবস্থায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে দুই দফা ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।

এই অবস্থায় মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির বিশেষ দূত হিসেবে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উ চ থিন। বুধবার তিনি পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তারা মিয়ানমারের দূতকে বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঢুকে পড়া ৬৫ হাজার রোহিঙ্গার পাশাপাশি আরও প্রায় সাড়ে তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্কটের কারণে পর্যটন ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের স্থিতিশলীতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দেশটির বিশেষ দূতকে বলেছেন তারা।

মন্ত্রী জানান, তাদের উদ্বেগের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রাথমিকভাগে গত দুই মাসে দেশটির যেসব নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে, তাদের বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করবে দেশটি। তবে বাংলাদেশ বলেছে, সবাইকেই ফিরিয়ে নিতে হবে।

মিয়ানমারকে এর আগেও রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিতে তাগাদা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এই অবস্থায় এই প্রক্রিয়ার সাফল্যের আশা কতটুকু?-জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘আগ্রহ না থাকলে তিনি (মিয়ানমারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী) আসতেন না। যেহেতু আন্তরিকতা দেখছি, আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে এগিযে যাব।’


সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ জানুয়ারি ২০১৭/ডেস্ক/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন