আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৭ সে.মি. উপরে

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৮-১২ ১১:৫৬:৫৯

সিলেটভিউ ডেস্ক ::   তিন দিনের ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সোমবার সকাল থেকে তিস্তা ধরলার ৬৩ চরে বাসিন্দাদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নিবার্হী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।

হঠাৎ পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজ এলাকা, হাতীবান্ধার তিস্তা নদী বেষ্টিত কয়েকটি ইউনিয়ন, কালিগঞ্জের ভোটমারী, কাকিনা ইউপি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচাঁ, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, মোগলহাট, কুলাঘাট, রাজপুর এলাকার তিস্তা ও ধরলা বেষ্টিত চরের ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। 

শনিবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ডালিয়া ব্যারাজের সবকটি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। আর ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ বাড়তে থাকলে লালমনিরহাটের শতাধিক গ্রামে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করছে প্রশাসন। 

এদিকে শনিবার সকাল থেকে তিস্তা ধরলার ৬৩ চরের অধিবাসীদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যদিকে জেলা মৎস্য অফিসার রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণে জেলার দু’শতাধিক পুকুর ও খালের মাছ ভেসে গেছে। পথে বসেছে কয়েক হাজার মাছ চাষি। এছাড়া কয়েক হাজার হেক্টর জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১২ আগস্ট ২০১৭/ডেস্ক/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন