আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

জনসমাগমে বাধার অভিযোগ খালেদা জিয়ার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১১-১২ ১৭:১০:৪১

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় জনসমাগমে পথে পথে বাধা দিয়েছে সরকার।

রোববার বিকালে জনসভায় বক্তৃতায় একথা তিনি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে তার নিন্দা জানান।

এই সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে সরকার পরিকল্পিতভাবে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।

গত দেড় বছরের মধ্যে ঢাকায় খালেদা জিয়ার এটাই প্রথম জনসভা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্বশেষ গত বছরের ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তিনি।

সেটা ছিল শ্রমিক দলের কর্মসূচি। ঢাকায় বিএনপির প্রকাশ্য কর্মসূচিতে তার সর্বশেষ অংশগ্রহণ গত বছরের ৫ জানুয়ারি নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার বেলা ২টায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে জনসভা শুরু হয়।

এক ঘণ্টা পর খালেদা জিয়া সমাবেশস্থলে পৌঁছলে চার দিক থেকে তার নামে স্লোগান ওঠে। তিনি হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছার জবাব দেন। ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও জাতীয় সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এই সমাবেশ ডাকা হলেও এতে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যে গুরুত্ব পাচ্ছে, তা মঞ্চের ব্যানারেই স্পষ্ট।

মঞ্চের পেছনে লাগানো ব্যানারে লেখা আছে- ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে জনসভা’।

খালেদা জিয়া সমাবেশে বক্তৃতায় দেশবাসীকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ দেবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল।

জনসভার জন্য উদ্যানে ৬০ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রশস্ত মঞ্চ নির্মাণ করে বিএনপি। মঞ্চের চারপাশে বসানো হয়ে সিসি টিভি ক্যামেরা। মঞ্চের সামনে ৩০ ফুট জায়গায় বেষ্টনি দেওয়া হয়েছে। পুরো জনসভা সুশৃঙ্খল রাখতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীদের নিয়ে  স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হয়েছে।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল এই জনসভার পুরো কার্যক্রম সমন্বয় করেন। তাকে সহযোগিতা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল। জনসভা ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশ-পাশের এলাকা সাজানো নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুনে। এসব ডিজিটাল ব্যানারে ছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন