আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

পত্রিকায় নাম না এলে কি আন্দোলন হয় না, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১১-১৫ ১৮:৩৩:০৭

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বিএনপি নেতাদের নিজেদের জাহির করার কড়া সমালোচনা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেছেন, এখানে যারা উপস্থিত হয়েছেন, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির তালিকার মতো করে তাদের নাম বলতে হয়। পত্রিকায় তাদের নাম-ছবি না এলে ক্ষুব্ধ হন। পত্রিকায় নাম না এলে কি আন্দোলন হয় না?

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার স্মরণে এ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।

আগেকার আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় অনলাইন পত্রিকা, এত টেলিভিশন এবং ফেসবুক ছিল না। তা হলে সেই সময় কি আন্দোলন হয়নি? সুতরাং পত্রিকায় নাম ও ছবি আসা, নিজেকে জাহির করার মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আন্দোলনে মনোনিবেশ করতে হবে সবাইকে।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বিএনপির আন্দোলন দুই ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। একটি প্রেসক্লাবকেন্দ্রিক আন্দোলন বা সংবাদ সম্মেলন এবং আরেকটি বিএনপির কার্যালয়কেন্দ্রিক আন্দোলন।

বিএনপি আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে বিএনপির রাজনীতি হয়ে উঠেছে আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি। আত্মরক্ষামূলক রাজনীতি করে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার চেয়ে আক্রমণাত্মক রাজনীতি করলে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আন্দোলন ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয় মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, সরকারের ইচ্ছা ছাড়া আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়। আন্দোলন-সংগ্রাম করেই খালেদা জিয়ার মুক্তি অর্জন করতে হবে।

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আন্দোলন করে শেখ সাহেবকে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) মুক্ত করতে না পারলে তার ফাঁসি হয়ে যেত। জনগণের আন্দোলনের ফলেই তিনি মুক্ত হয়ে আসেন এবং সেসব মামলাও কোথায় গেছে তার কোনো হদিস নেই।

নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাঈদ আহমেদ আসলাম। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম। বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বগুড়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেন, সাদেক হোসেন খোকার বড় ছেলে প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি ফরিদ উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, তেজগাঁও থানা বিএনপির সহসভাপতি হাফিজুর রহমান প্রমুখ।


সৌজন্যে :: যুগান্তর
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৫ নভেম্বর ২০১৯/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন