Sylhet View 24 PRINT

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি নূরের

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০১-০৬ ২২:৪২:১৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নূর বলেছেন, অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষা কার্যক্রমের সময়সীমা কমিয়ে আনতে হবে। পাঁচ দিনের পরিবর্তে প্রয়োজনে সেটা তিন দিন করা যেতে পারে। একই ক্লাস শিফট করে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম আর একটা দিনও বন্ধ রাখা যাবে না।

আজ বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হল খুলে পরীক্ষা নেয়া, করোনাকালে ভর্তি ফি, বেতন ও উন্নয়ন ফি মওকুফ এবং শিক্ষাসংকট মোকাবিলায় এক ছাত্রসমাবেশে এ দাবি জানান তিনি। সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

নুরুল হক নূর বলেন, হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট, বাস-লঞ্চ স্টিমার ও অফিস-আদালত সব কিছু চলছে, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে সমস্যা কোথায়? খুব সাধারণ প্রশ্ন। ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছিল, তারপর সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়েছিল, লোকবল কমিয়ে আনা হয়েছিল-সেটার একটা যৌক্তিকতা ছিল। কিন্তু এখন আর কোথাও এভাবে সংকুচিত করে কাজ চলছে না। একেবারে পূর্ণোদ্যমে চলছে। তাহলে ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ থাকছে?

নুরুল হক নূর বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চেয়েও স্কুল-কলেজের কমলমতি শিক্ষার্থীরা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এক প্রকার বই বা পাঠ্য পুস্তুক থেকে দূরে আছে। যে বলছিল অনেকেই অনলাইন ক্লাসে অনেকেরই মনযোগ থাকে না। যেখানে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে ইন্টার অ্যাকশন থাকে না সেখানে কিভাবে মনযোগ থাকবে?

তিনি বলেন, সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন এখন অন্তত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা দরকার। এখন সেটা যেন কথার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে।

এসময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সমালোচনা করে বলেন, আজকে করোনার মধ্যেও শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়েছে। এবং শিক্ষক সমিতি 'অটোপাশ' করেছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আরেকটা লজ্জা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এখন অটোপাশ। ভাবা যায়, যে বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় 'জাতির বিবেক'। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের বলা হয় 'সমাজ গড়ার কারিগর'। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আজকে গণতান্ত্রিক চর্চাকে ধ্বংস করে অটোপাশের নির্বাচনী ব্যবস্থা চালু করেছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৬ জানুয়ারি ২০২১/বিডিপ্রতিদিন/মিআচৌ-৭

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.