আজ মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ইং

রাষ্ট্রপতির সংলাপ ‘সংবিধানবিরোধী’ হিসেবে মন্তব্য নাজমুল হুদার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-০৩ ১৭:৩৯:২৬

সিলেটভিউ ডেস্ক ::  নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ করছেন সেটাকে ‘সংবিধানবিরোধী’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স বিএনএ চেয়ারম্যান ও তৃণমূল বিএনপি প্রধান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মতামত গ্রহণের এখতিয়ায় সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দেয়নি। এমনকি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের এখতিয়ারও সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দেয়নি।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি নাজমুল হুদা এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে নাজমুল হুদা বলেন, ‘তথাকথিত সংলাপ সম্পন্ন করার পর রাষ্ট্রপতি যদি কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী যদি সেই সিদ্ধান্তের সাথে একমত না হন- তাহলে রাষ্ট্রপতি কি সেই নিয়োগ বাস্তবায়িত করতে পারবেন? বরং প্রধানমন্ত্রী তাঁর সুবিবেচিত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদানের আগে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে সংবিধানসম্মতভাবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।’

বিএনপির সাবেক এই নেতা বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনার জন্য অনিবন্ধিত দলগুলোকে ডাকা হয়নি। অথচ আসন্ন নির্বাচনের আগেই অনেক অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন পাবে, তাহলে এই খণ্ডিত সংলাপের অর্থই বা কী?’

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগেই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটিকে নিয়োগ দিতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী এই নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তবে এ বিষয়ে সংবিধানে আইন করার কথা বলা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো আইন করা হয়নি। আবার সংবিধানের বিধান অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি স্বাধীন নন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য। ফলে বরাবর নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয় বলে অভিযোগ আছে।

২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে কমিশনে নিয়োগ দেয়ার আগেও সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বঙ্গভবন থেকে বিভিন্ন দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির এই সংলাপ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত তিন দফায় মোট ১৬ দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টি, এলডিপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাসদ, বাংলাদেশে ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয় পার্টি (জেপি) বঙ্গভবনে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া আলোচনার জন্য দিনক্ষণ নির্ধারিত আছে, আওয়ামী লীগ, তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ, সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, বিকল্প ধারা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৩ জানুয়ারী ২০১৭/ডেস্ক/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন