আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

বিএনপির সমাবেশে শ্রমিক লীগের হামলা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০১-০৫ ১৭:৩২:১৭

সিলেটভিউ ডেস্ক ::  বরিশাল নগরীতে বিএনপি ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনে আয়োজিত সমাবেশের প্রস্তুতিকালে ও দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার নগরীর সদর রোডে পুলিশ প্রহরায় দুই দফা হামলায় শতাধিক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন  বিএনপি’র মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিবদার।

বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম রউফ জানান, সকালে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। একই সময় কিছুটা অদূরে সদর রোডে অবস্থান করছিল শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে একটি বোতল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ছুড়ে মারা হয়। এঘটনায় আওয়ামী লীগের উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষনিক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

তবে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন জানান, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রস্তুতিকালে ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এঘটনায় তাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি তার।

মহানগরের সহ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন জানান, সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের পাশে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়। পূর্ব থেকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে অবস্থান নেওয়া পুলিশ তাদের ঘিরে রাখে। একই সময়ে সদর রোডে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকলীগ নেতা কর্মিদের সাথে যুব ও ছাত্রলীগ যোগ দেয়। তারা একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিএনপি’ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। পরে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া বিএনপির দক্ষিণ জেলার সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন,  সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিয়া সিকদারসহ জেষ্ঠ্য নেতারা মহানগরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে বের হয়। তারা নগরীর সদর রোডের অনামী লেনের কাছে পৌছুলে লাঠিসোটা নিয়ে পিছন থেকে হামলা করে। পুলিশ দলীয় নেতাকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ন হয়ে লাঠিপেটা করেছে। ছাত্র ও যুবলীগ ক্যাডারদের হামলা ও পুলিশী লাঠি পেটায় বিএনপির দক্ষিণ জেলার সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, আবুল কালাম শাহীন, কামরুন্নাহার রোজী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর তসলিমা কালাম পলি, মামুনসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

এদিকে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেত্রী কামরুন্নাহার রোজীর ওপর হামলা চালানোর ভিডিও চিত্র ধারণের সময় চ্যানেল আই’র ক্যামেরা পার্সনকে পুলিশ লাঠিপেটা করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত বিএনপি নেতা কর্মিদের মধ্যে আজাদ নামে একজন কর্মীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও অন্যদের সদর হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাকের দাবি, পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে বিএনপির হামলার নাটক সাজিয়েছে। তারা নিজেরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্র ও যুবলীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

ওসি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এদিকে হামলার প্রতিবাদে নগরীর বগুড়া রোডে ছাত্রদলের জেলার আহবায়ক সাইফুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে প্রতিবাদী মিছিল বের করা হয়। মিছিলকারীরা হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়েছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/০৫ জানুয়ারি ২০১৭/ডেস্ক/এসডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন