আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

মনোনয়ন দৌঁড়ে কপাল খুলতে পারে ছাত্রলীগের সাবেক ৭ নেতার

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-০৮-১০ ১২:০১:১০

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বিদায় নেওয়া সাত নেতার ভাগ্য খুলতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। অাওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাবেন তারা এমন জোর অালোচনা চলছে সাত নেতার নির্বাচনী এলাকায়। দশম নির্বাচনের পর থেকেই তারা বিরামহীন ভাবে গণসংযোগ চালাচ্ছেন। বর্তমানে অাওয়ামী লীগ দলীয় এমপিদের নেতিবাচক কর্মকান্ডে স্থানীয় নেতারা এখন প্রকাশ্যে দলীয় এমপির কড়া সমালোচনায় মেতে উঠেছেন।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল নেত্রকোনা-৩ অাসনে নির্বাচন করতে গণসংযোগ চালাচ্ছেন একযুগেরও বেশি সময় ধরে। ২০০৬ সালের বাতিল হওয়া ২২ জানুয়ারির নির্বাচনে অাওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম নির্বাচনে  অসীম উকিলের পরিবর্তে মঞ্জুর কাদের কােরাইশীকে মনোনয়ন দেয় অাওয়ামী লীগ। দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন অসীম উকিল। দশম নির্বাচনে অাওয়ামী লীগ অসীম উকিলকে মনোনয়ন দেবে এমন প্রত্যাশা ছিল স্থানীয় নেতাকর্মীদের। কিন্তু মনোনয়ন পাননি তিনি।  জাতীয় পার্টির জসিমউদ্দিন মহাজোটের মনোনয়ন পান। নেত্রকোনা- ৩ অাসনের বর্তমান এমপি ইখতেখার উদ্দিন পিন্টু দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচনি এলাকায় যেতে পারেন না পিন্টু। তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরাও এমপির দেখা পান না। এমপির ঘনিষ্ঠজনদের নানা অনিয়ম সেই সঙ্গে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করায় নেতিবাচক ইমেজ সৃষ্টি হয়েছে এমপি পিন্টুর। অপরদিকে নির্বাচনি এলাকায় বিরামহীন গণসংযোগ চালাচ্ছেন অসীম উকিল। হাওরের দূর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছন অাওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম উকিল।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহে অালমও বারবার বঞ্চিত হয়েছেন অাওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন থেকে। কেবল দলীয় মনোনয়ন নয় অাওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পদও পাননি তিনি। দশম সংসদ নির্বাচনে বরিশাল -২ অাসন থেকে তাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল অাওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তন করে অধ্যক্ষ ইউনুসকে মনোনয়ন দেয় দলটি । ফলে কপাল পুড়ে শাহে অালমের। অাগামীতে শাহে অালম এই অাসন থেকে অাওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এমনটি মনে করছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ অাসনে মনোনয়ন দিয়েছিল অাওয়ামী লীগ। নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী কর্নেল (অব.) অলি অাহমেদের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মাঈনুদ্দিন। এরপর অার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি। অাগামী নির্বাচনে অংশ নিতে প্রচারণায় নেমেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামূল হক শামীম বিগত দুইটি নির্বাচনেই দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত অালীকে পরিবর্তন করেনি অাওয়ামী লীগ। বার্ধ্যকজনিত কারণে অাগামী নির্বাচনে শওকত অালীর নির্বাচনে অংশ নেওয়া কঠিন হতে পারে।

এদিকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়ার পর এনামূল হক শামীমই অাগামীতে মনোনয়ন পাচ্ছেন এমন অালোচনা উঠেছে নির্বাচনি এলাকায়।

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক অালী খান পান্না গত নির্বাচনে পিরোজপুর -২ অাসনে অাওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু জোটের কারণে জেপির অানোয়ার হোসেন মঞ্জুকে অাসনটি ছেড়ে দেয় অাওয়ামী লীগ।

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান রিপন জোর প্রচারণা চালাচ্ছেন বর্তমান সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার অাসনে। স্থানীয় অাওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী রিপনের সঙ্গে রয়েছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ অাগামী নির্বাচনে অংশ নিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বাগেরহাট  মোড়লগঞ্জ অাসনে অাগামীতে সোহাগই দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন তার সমর্থকরা।

এছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফা অাকতার পপি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখরের দলীয় মনোনয়ন পেতে পারেন মনে করছেন অাওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা।

 

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন