Sylhet View 24 PRINT

আম্পায়ারের ভুলে সেঞ্চুরি বঞ্চিত জেসন রয়

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১১ ২১:৫৮:৪৩

সিলেটভিউ ডেস্ক :: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন ইংলিশ ওপেনার জেসন রয়। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অসিদের বিপক্ষে ২২৪ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে রীতিমতো ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ইংলিশ এ ওপেনার।

উদ্বোধনী জুটিতে জনি বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে ১৭.২ ওভারে ১২৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রয়। ৪৩ বলে ৩৪ রান করে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো।

৫০ বলে ফিফটি করা রয় একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন। কিন্তু প্যাট কামিন্সের বলে উইকেটকিপার অ্যালেক্স কেরির জোড়ালো আবেদনে সাড়া দিয়ে রয়কে আউট দিয়ে মাঠ ছাড়া করেন কুমার ধর্মসেনা ও মারাইস ইরাসমাস।

আম্পয়ারের আউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি রয়। তিনি মাঠেই প্রতিবাদ জানান। বারবার দুইহাত প্রসারিত করে বলছিলেন, এটা কটবিহাইন্ড নয়! বরং ওয়াইড। আক্ষেপ নিয়ে জেসন রয় যখন মাঠের সীমানা রশির কাছাকাছি পৌঁছান ঠিক তখন রিভিউতে স্পষ্টই দেখা যায়, বলটি ওয়াইডই ছিল।

আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তার ক্যারিয়ারের একটি সম্ভাবনাময় সেঞ্চুরির অপমৃত্যু হলো! মাত্র ৬৫ বলে নয়টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৮৫ রান করে ফেরেন জেসন রয়।

অস্ট্রেলিয়া ২২৩/১০

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ২২৩ রানেই অলআউট করে দিল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪৯ ওভারেই অলআউট অ্যারন ফিঞ্চের দল।

ক্রিস ওকস ও জফরা আর্চারের গতির মুখে পড়ে ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই অবস্থা থেকে দলকে খেলায় ফেরান অ্যালেক্স কেরি ও স্টিভ স্মিথ। তার ৮৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২২৩ রান তুলতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপের গত ১১ আসরের মধ্যে পাঁচবার শিরোপা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। এবারের আসরের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে এসেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

কিন্তু সবশেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে (৩২৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ রানের পরাজয়) হেরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ থেকে দুইয়ে নেমে যাওয়া দলটি আজ সেমিফাইনালেও প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেনি।

সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপজয়ী অসি দলটিকে ২২৩ রানে অলআউট করে ২৭ বছর পর আরও একটি ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখেছে ইংল্যান্ড। সবশেষ ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রায় তিন দশক পর চতুর্থবারের মতো ফাইনালে খেলার অপেক্ষায় ইংলিশরা।

বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেই ক্রিস ওকস এবং জফরা আর্চারের গতির মুখে পড়ে যায় অসি ব্যাটসম্যানরা।

জিতলে ফাইনালে, হারলে বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণের ম্যাচে স্কোর বোর্ডে ১৪ রান জমা করতেই সাজঘরে ফেরেন অসি তিন সেরা ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার ও পিটার হ্যান্ডসকম্ব।

দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে উইকেটে নেমেই জফরা আর্চারের বাউন্সারের শিকার হন অ্যালেক্স কেরি। ৭.৬ ওভারে দলীয় ১৪/৩ এবং ব্যক্তিগত ৪ রানে জফরা আর্চারের বাউন্সার সরাসরি অ্যালেক্স কেরির হেলমেটে আঘাত হানে। সঙ্গে সঙ্গে তার থুতনি ফেটে রক্ত পড়া শুরু হয়। সাময়িম শ্রুশ্রষা নিয়ে অনবদ্য ব্যাটিং চালিয়ে যান কেরি।

চতুর্থ উইকেটে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি গড়েন কেরি। অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটির পথেই ছিলেন তিনি। আদিল রশিদের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দেন। তার আগে ৭০ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪৬ রান করেন কেরি।

এরপর অস্ট্রেলিয়ার আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যতিক্রম ছিলেন স্মিথ। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ অধিনায়ক। সেঞ্চুরির পথে থাকা স্মিথ ইনিংস শেষ হওয়ার ১৭ বল আগে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়ে ফেরেন।

অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ১১৯ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৮৫ রান করেন স্মিথ। তার বিদায়ের পর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে মিচেল স্টার্ক ও জেসন বিহানড্রপের উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২২৩/১০ (স্মিথ ৮৫, কেরি ৪৬, মিচেল স্টার্ক ২৯, ম্যাক্সওয়েল ২২, ওয়ার্নার ৯, কামিন্স ৬, লায়ন ৫*, হ্যান্ডসকম্ব ৪, বিহানড্রপ ১, ফিঞ্চ ০, স্টইনিস ০; ক্রিস ওকস ৩/২০, আদিল রশিদ ৩/৫৩)।


সৌজন্যে : যুগান্তর

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১১ জুলাই ২০১৯/গআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.