Sylhet View 24 PRINT

কোথাও শক্তিশালী ইংল্যান্ড, কোথাও নিউজিল্যান্ড

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৭-১২ ২১:১৩:৪৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: প্রায় দেড় মাসের বিশ্বকাপ শেষ হয়ে এসেছে। শেষ ম্যাচে এসে ঠেকেছে। শিরোপা লর্ডসে গিয়ে উঠেছে। হোম অব ক্রিকেটের বারান্দায় জয়ী দলের হাতে উঠবে শিরোপা। স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে থেকে বর্ষণ হবে আঁতশবাজির। ক্রিকেট বিশ্ব দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। নতুন উদযাদন। ফাইনালের লড়াইও দারুণ জমাট হবে বলেই আভাস।

কারণ শক্তিতে পিছিয়ে নেই কোন দল। আপাত চোখে ইংল্যান্ডই বেশি শক্তিশালী। ঘরের মাঠে খেলা। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে ইংলিশরা। তবে দুর্বলতা তাদেরও আছে। ঠিক সেখানেই আবার এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। দুর্বল জায়গায় শক্তি খাটাতে পারবে যে দল চ্যাম্পিয়ন হবে তারাই।

ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার যেমন বিশ্বকাপের সেরা। জনি বেয়ারস্টো-জেসন রয় দুর্দান্ত শুরু করছেন। ঝড় তুলছেন। বাংলাদেশ, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা সেটা দেখিয়েছে। কিউইরা প্রথম ম্যাচে ১৩৭ রানের ওপেনিং জুটি পায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ৩৫। ২০১৫ বিশ্বকাপে ৫৪৭ রান করা মার্টিন গাপটিল এখন পর্যন্ত করতে পেরেছেন মাত্র ১৬৭ রান। ফাইনালেও তিনি ডুবলে ভরাডুবি হতে পারে দলের।

মিডল অর্ডারে আবার নিউজিল্যান্ড ভালো করছে। প্রায়ই ম্যাচে ওপেনারদের ব্যর্থতার পর কেন উইলিয়ামসন এবং রস টেইলর দলকে টানছেন। তারাও ব্যর্থ হলে বিদায় ঘণ্টা আগেই বেজে যেত কিউইদের। ইংল্যান্ডের জো রুটও ভালো করছেন। তবে ইয়ন মরগান, জস বাটলার কিংবা বেন স্টোকস ধারাবাহিক নয়। তারাও অবশ্য কোন কোন দিন খেলছেন। ম্যাচ জেতাচ্ছেন আবার হারছেনও।

নিউজিল্যান্ড আবার লোয়ার মিডল অর্ডারে ভালো করছে। মঈন আলী শুরুতে ছিলেন কিন্তু ইংল্যান্ডকে ভরসা দিতে পারেননি। ক্রিস ওকস এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট রান করতে পারেন কিন্তু ভরসা দিতে পারছেন না তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কলিন ডি গ্রান্ডহোম এখানে বেশ এগিয়ে। মিশেল সাটনারও ভালো করছেন। এখানে ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে কিউইরা। ইংল্যান্ডের অবশ্য লেজের ব্যাটসম্যানদের রানের ওপর নির্ভর করছে না। তবে দরকার পড়তে কতক্ষণ।

নতুন বলে ইংল্যান্ড ভয়ঙ্কর দল। জোফরা আর্চার ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ পাল্টে দিয়েছে। যে কোন উইকেটে শুরুতে রান চেক দিয়ে উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ভিত্তি দিচ্ছেন আর্চার। ক্রিস ওকস ভালো লাইন-লেনথে বোলিং করে সুইং দিয়ে সমীহ আদায় করে নিচ্ছেন। বিশ্বকাপের সেরা নতুন বলের জুটি তারা। কিউইরাও নতুন বলে ভালো। ট্রেন্ট্র বোল্ট এবং ম্যাট হেনরি আছেন। তবে তারা কন্ডিশন নির্ভর হয়ে পড়েছেন। 'নিজেদের দিনের' ভরসায় থাকতে হচ্ছে তাদের।

মিডল ওভারের বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড এগিয়ে। মার্ক উডের চেয়ে এখানে বেশি ভালো করছেন লকি ফার্গুসন। বেন স্টোকসের চেয়ে নিশাম ভালো। যদিও লিয়াম প্লাঙ্কেট ইংল্যান্ডের বাড়তি পাওনা। গ্রান্ডগোম-সাটনার দলকে ভালো ব্রেক থ্রু দিচ্ছেন। আদিল রশিদ সেমিফাইনাল ছাড়া সেভাব সুবিধা আদায় করতে পারেননি। তবে স্লগ ওভারে আবার ভালো বোলিং করছে ইংল্যান্ড। লকি ফার্গুসন-ট্রেন্ট বোল্ট জুটির চেয়েও ভালো। তবে ফিল্ডিংয়ে দু'দল সমানে সমান।


সৌজন্যে : সমকাল

সিলেটভিউ ২৪ডটকম/১২ জুলাই ২০১৯/গআচ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.