Sylhet View 24 PRINT

বড় তারকা না থাকাই গিবসের দলের প্রধান শক্তি!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-১২-১১ ১২:৪৯:১৪

সিলেটভিউ ডেস্ক :: খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন মারকুটে ব্যাটসম্যান। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি গায়ে ইনিংসের সূচনা করতে নেমে প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করতে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন হার্শেল গিবস। অসাধারণ ফিটনেসের কারণে ফিল্ডিংটা ছিলো আরও বেশি ভালো। কিংবদন্তি ফিল্ডার জন্টি রোডসের যোগ্য উত্তরসূরিই তিনি।

সেই ফিটনেস বজায় রেখেছেন এখনও। বয়স ৪৫ হয়ে গেলেও বোঝার উপায় নেই তিনি বুড়িয়ে যাচ্ছেন। বছর আটেক আগে সবশেষ এসেছিলেন বাংলাদেশে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বিশ্বকাপের ম্যাচে অংশ নিতে।

সময়ের পরিক্রমায় আবারও এসেছেন। তবে এবার পরিচয় ভিন্ন। তিনি কোচিং করাবেন বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লিগের দল সিলেট থান্ডার্সকে। যদিও গিবস নিজে মনে করেন এখনও তিনি খেলোয়াড় হিসেবেই জায়গা পেতে পারেন যেকোনো দল, খেলতে পারবেন আরও ১০ বছর।

তাই তো মঙ্গলবার বিপিএল শুরুর আগের দিন নিজ দলকে অনুশীলন করানোর ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘চাইলে আরও ১০ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারি। অবশ্যই আমি মনে করি, খেলা চালিয়ে যাওয়ার মতো বয়স এবং ফিটনেস আছে আমার।’

নিছক মজার ছলেই বলেছেন কথাটা। এখন আর খেলেন না তিনি। কোচ হিসেবেই আছেন সিলেটের সঙ্গে। তার দলে নেই তেমন বড় কোনো তারকা। অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়েছে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেনকে। এছাড়া দেশি-বিদেশিদের মধ্যে নেই তেমন নামীদামী কোনো খেলোয়াড়।

এতে দমে না গিয়ে বরং বড় তারকা না থাকাকেই প্রধান শক্তি হিসেবে দেখছেন গিবস। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না দলে অন্যান্যদের মতো বড় তারকা রয়েছে। যার মানে দাঁড়ায় আমরা আরও বেশি স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারবো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক অনেক টুর্নামেন্ট হয়, যার ফলে অনেকেই বড় তারকা হতে পারে। তবে আপনি যত বেশি অপরিচিত, ততোই বেশি ভালো হওয়ার সুযোগ থাকে আপনার সামনে। দলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের দেখে মনে হয়েছে উত্তেজনা ও ভীতি একসঙ্গে কাজ করছে। এটা ভালো দিক।

এসময় তিনি বাড়তি জোর দেন স্বাধীনতা নিয়ে খেলার ওপর। যা করতে পারলে সাফল্য আসবেই বলে মনে করেন গিবস। তার ভাষ্যে, ‘আমি যেটা বললাম, আপনি যখন প্রত্যাশার বাইরে থাকেন তখন যেকোনো সাফল্যই বেশি আনন্দ দেয়। আমিসহ দলের সবার সামনেই উত্তেজনার একটা বিষয় থাকেই। আমি এখনও মাঠের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাদের মতো করেই খেলাটা অনুভব করি। তারা যেমন উপভোগ করে, আমিও তেমন করি।’

‘স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারলে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, সাফল্য পাওয়া যায়। আমার মনে হয় না বড় তারকার দরকার আছে খুব বেশি। এমন কাউকে দরকার যে আলোর বাইরে থেকেই কাজটা করে দেবে। কারণ অন্যান্য দলগুলো তো অপরিচিত খেলোয়াড় সম্পর্কে বেশি কিছু জানে না।’

সিলেট থান্ডার্স স্কোয়াড
দেশি ক্রিকেটার : মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (এ), মোহাম্মদ মিঠুন (এ), নাজমুল ইসলাম অপু (বি), সোহাগ গাজী (সি), রনি তালুকদার (বি), নাইম হাসান (বি), মো. দেলোয়ার হোসেন (সি), মনির হোসেন খান (সি), রুবেল মিয়া (ডি), এবাদত হোসেন (ড্রাফটের বাইরে)।

বিদেশি ক্রিকেটার : শেরফেইন রাদারফোর্ড, শফিকুল্লাহ শাফাক, নবীন উল হক, জনসন চার্লস, জীবন মেন্ডিস, আন্দ্রে ফ্লেচার (ড্রাফটের বাইরে), চ্যাডউইক ওয়ালটন (ড্রাফটের বাইরে), শেলডন কটরেল (ড্রাফটের বাইরে)।

সৌজন্যে : জাগোনিউজ ২৪

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১১ ডিসেম্বর ২০১৯/মিআচৌ

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.