আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

টেস্ট খেলা নিয়ে যা বললেন সিলেটের রাহী

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০২-১৯ ২১:২০:১৮

সিলেটভিউ ডেস্ক :: টেস্ট ধৈর্যের খেলা। আর বাংলাদেশি পেসারদের জন্য তো সেই ধৈর্যর পরীক্ষাটা আরও কঠিন। পেস সহায়ক উইকেটে যে তাদের খেলার সুযোগ মেলে না তেমন। অনেক টেস্টেই বোলিংয়ের সুযোগ হয় মাত্র এক ইনিংসে।

এত প্রতিকূলতা মাথায় নিয়ে টেস্টকে নিজের ধ্যান-জ্ঞান বানাবেন এমন পেসার এখন বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তবে আবু জায়েদ রাহীর ভাবনা অন্যরকম। মাত্র আট টেস্ট খেলেছেন, ডানহাতি এই পেসার ইতিমধ্যেই দলের পেস আক্রমণের মূল শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। টেস্ট নিয়ে তার স্বপ্নটাও অনেক বড়।

আট টেস্টের ক্যারিয়ারে ১৬টি ইনিংস পাওয়ার কথা ছিল রাহীর। কিন্তু তিনি বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১০ ইনিংসে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় যে ইনিংস পরাজয় দেখতে হয়েছে এই ৮ টেস্টের ৬টিতেই।

তারপরও প্রাপ্য সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেছেন রাহী। ৮ টেস্টে নিয়েছেন ২০ উইকেট। এখন তাই তাকেই টেস্টে এক নম্বর ধরা হয় বাংলাদেশের।

এমন একটা ট্যাগ মাথায় নিয়ে দায়িত্ব কি থাকে? রাহীর জবাব, ‘আসলে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যখন অধিনায়ক বলবে ঠিক জায়গায় বোলিং করার, তখন তাই করতে হবে। রিয়াদ ভাই, সৌরভ ভাই দুই থেকে তিন রানের বেশি না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আমরা সেভাবে করেছি। তামিম ভাইও বোলারদের খুব পরামর্শ দিচ্ছে। একটু সময় দিলে আশা করি খুব ভালো হবে।’

দেশের কন্ডিশনে পেসাররা তেমন সুবিধা পান না। এই অবস্থায় মোটিভিশন কিভাবে আনেন কিংবা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজে লক্ষ্যই কি থাকবে? ডানহাতি এই পেসার বলেন, ‘দলের জন্য কী করতে হবে, সেটা জানাটাই আসল। দুই পেসার খেলবে নাকি এক পেসার, তা এখনো জানি না। বিসিএল বা ন্যাশনাল লিগে স্পিনাররা বেশি রান দিলে পেসারদের কাজ হয় রান কম দেওয়া। এতে স্পিনাররা পরে এসে উইকেট নিতে পারে। টিমের জন্য যেটা কাজে লাগবে, সেটা করাই আসল মোটিভিশন।’

টেস্টে পেস বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র এখন তিনি। এই ভূমিকাটা কেমন লাগে? রাহী জানালেন, এভাবে ভাবেন না। বরং দেশের হয়ে অনেক টেস্ট খেলার স্বপ্ন তার, ‘সত্যি কথা বলতে সেই অনুভূতিটা আসে নাই। অনেক টেস্ট খেলতে চাই। এখন পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলেছি। অন্তত ৫০ থেকে ৭৫টা টেস্ট খেলতে চাই।’

দীর্ঘদিন দলের পেস বোলিং কোচ ছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। তার জায়গায় এখন এসেছেন আরেক ক্যারিবীয়-অটিস গিবসন। কোচ পরিবর্তনের ঝামেলাটা কেমন?

রাহী এটাকে ঝামেলা মনেই করেন না। তার ভাষায়, ‘কোচের কাছ থেকে ভালো জিনিসটা মনে রাখার চেষ্টা করি এবং সেভাবেই কাজ করি। কোচ চলে যাওয়া বা আসা আমাদের হাতে নাই। যারা ছিলেন, তাদের কাছ থেকে শেখা ভালো জিনিসটা মনে রাখার চেষ্টা করি। এটার কোনো বিকল্প নেই।’

নতুন কোচ গিবসনের সাথে কী কাজ হলো? এমন প্রশ্নে রাহীর জবাব, ‘মাত্র দুই দিন হলো। কারণ টেস্টের সময় কাজ করতে পারেনি (পাকিস্তানে)। গতকাল বলেছে লাইট বোলিং করতে। রানআপ নিয়ে কাজ করতে বলেছে। এক জায়গায় বোলিং করতে বলেছে।’

সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০/জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন