আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

ম্যারাডোনা সতীর্থের এ কেমন জীবন, ঘুমান রাস্তায়!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২০-০৬-২৮ ২০:২৬:০০

সিলেটভিউ ডেস্ক :: মানুষের জীবনে কত উত্থান-পতনই না না ঘটে। কেউ সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্মালেও পরবর্তীতে বস্তিতে জীবন কাটাতে হয়। কারও জন্ম বস্তিতে হলেও পরে রাজকীয় প্রাসাদে জীবন কাটান। এটাই নিয়তির নিয়ম।

আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার এক সময়কার সতীর্থ পিয়েত্রো পুজনের জীবনটাও এমন। রাজকীয় প্রাসাদে যার জীবন কাটানোর কথা, তিনি কি না এখন দু’বেলা দু’মুঠো খাবারও পান না ঠিকমত। মাথা গোঁজার জায়গা নেই তার। ঘুমাতে হয় রাস্তায়।

ইতালির লা গ্যাজেত্তা দেল্লো স্পোর্ট পত্রিকায় উঠে এসেছে পিয়েত্রে পুজনের এই করুন চিত্রের কথা। দেল্লো স্পোর্ট থেকে আবার এই খবরটা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।

সাবেক ফুটবলারদের এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে পিয়েত্রে পুজনের বর্তমান জীবন কাহিনি জানা গেছে। বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা আশির দশকের শেষ দিকে ইতালির ক্লাব ফুটবলে খেলেন ন্যাপোলির হয়ে। ১৯৮৭ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে ন্যাপোলি চ্যাম্পিয়নও হয়। সেই দলেই ম্যারাডোনার সতীর্থ ছিলেন ইতালির সাবেক মিডফিল্ডার পিয়েত্রো পুজন। সেই ফুটবলারেরই কি না এখন চরম দৈন্যদশা।

নেপলস থেকে ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আচেরার রাস্তায় দেখা যায় পুজনকে। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে খাবার খাচ্ছেন তিনি। ইতালির ক্রীড়া দৈনিক জানিয়েছে, নিজের দোষেই এমন অবস্থা পুজনের। একটা সময় ভীষণ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। এটাই তাকে শেষ করে দেয়। তার ক্যারিয়ার বলে কিছু ছিল না।

পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনও তছনছ করে দেয় মদের নেশা। তাই এক সময়ের ইতালিয়ান তারকা ফুটবলারের আজ এই অবস্থা। সব হারিয়েও মাদককে ছাড়তে পারেননি তিনি। তবে পুজনের অবস্থার কথা জানতে পেরে এগিয়ে এসেছে আচেরা সিটি কর্পোরেশন।

শহরের মেয়র রাফায়েল লেতিয়েরি লা গ্যাজেট্টা দেল্লো স্পোর্টকে জানিয়েছেন, ‘মে মাসে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। করোনাভাইরাসের জন্য জরুরি সেবাও দেয়া হয়েছে। এর আগে মাদকসক্তি থেকে মুক্তির জন্য পুজনকে নিয়ে কাজ করেছি; কিন্তু লাভ হয়নি। এখন তার পুরনো বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। যদি তাদের চেষ্টায় পুজন নেশা ছেড়ে নতুন জীবন পেতে পারে! সেটাই একমাত্র আশা।’


সৌজন্যে : জাগোনিউজ২৪
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ জুন ২০২০/ ডেস্ক / জিএসি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন