আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

‘সারাজীবন তো সাকিব তামিম মুশফিকরা খেলবে না!’

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০২১-০৪-০৬ ১৯:৩৩:৩২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: দীর্ঘদিন পর আবারও বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার নিযুক্ত হয়েছেন সাবেক অধিনায়ক, বিসিবি পরিচালক এবং আবাহনী ও ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

ম্যানেজারের দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। দিয়েছেন নানা প্রশ্নের উত্তর। অবধারিতভাবেই সেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ দলের বর্তমান অবস্থার প্রসঙ্গ। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন সুজন।

খালেদ মাহমুদ সাকিব আল হাসানের প্রয়োজনীয়তা বেশ অনুভব করলেন। সাকিবের না থাকাটা একটা বড় ধরনের ফ্যক্টর। খালেত মাহমুদ মানেন, সাকিব থাকার অর্থ একজন বোলার এবং ব্যাটসম্যান বাড়তি খেলাতে পারা।

বাংলাদেশ দলের নতুন ম্যানেজার বলেন, ‘সাকিব নেই তাই এটা একটা বড় ইস্যু আমাদের জন্য। কারণ সাকিব থাকলে টিমের ব্যালেন্সে সুবিধা হয়। সাকিব থাকা মানে একটা ব্যাটসম্যান ও বাড়তি বোলার পাওয়া এবং সাথে একটা বাড়তি ব্যাটসম্যান ও বোলারকে আমরা খেলাতে পারি। তো সেখানে একটা প্রবলেম তো হতেই পারে।’

কিন্তু বাস্তবতা মেনে নেয়ার পক্ষে খালেদ মাহমুদ। তিনি জানালেন, সাকিব-মাশরাফি-তামিমরা তো আর সারাজীবন খেলবে না। তাদের ছাড়াও তো দলকে এগিয়ে নিতে হবে। সে কাজটা এখন থেকেই না হয় শুরু হোক!

তিনি বলেন, ‘তবে আপনি সারাজীবন মাশরাফি, সাকিব, তামিম, রিয়াদ বা মুশফিক তো বাংলাদেশের ক্রিকেট খেলবে না। এক সময় মোহাম্মদ রফিক খেলতো, হাবিবুল বাশার সুমন ছিল, নাইমুর রহমান দুর্জয় খেলেছে, এখন খেলছে না। এক সময় এরাও ছেড়ে যাবে। তাই বলে বাংলাদেশ দল আটকে থাকবে না। চলতে তো হবেই!’

সাকিবের পরিবর্তে যারা আসবে তাদের প্রমাণ করতে হবে যে তারাও ভালো কিছু করার সামর্থ্য রাখে। খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘সাকিব থাকলে অবশ্যই তা আমাদের জন্য বড় পাওয়া যে সাকিব দলে খেলছে। তবে যেহেতু সাকিব খেলছে না তার বিকল্প যাই আছে আমাদের তা ডিসাইড করতে হবে এবং যারাই আছে তারা যে ক্যাপাবেল না তা না। তারাও ম্যাচ উইনার, অনেক ম্যাচ তারা ভালো খেলেছে, জিতিয়েছে।’

সিনিয়র-জুনিয়র কোনো ব্যাপার নয়। দলের মধ্যে সবাইকেই দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। কেউ কারো চেয়ে কম নয়। ভালো খেলার সামর্থ্য আছে বলেই তো জাতীয় দলে আনা হয়েছে তাদের। সুতরাং, সবাই নিজের দায়িত্বটা ঠিকমত পালন করলে ভালো কিছু আসবে অবশ্যই। সেটাই বিশ্বাস করেন খালেদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘যারা সিনিয়র আছে বা জুনিয়র আছে সবারই দায়িত্ব আছে। এটা সিনিয়র-জুনিয়রের খেলা না। যেহেতু সবাই ন্যাশনাল টিমকে রিপ্রেজেন্ট করছে। আমি মনে করি, সবারই তাই সমান দায়িত্ব আছে। এটা এমন নয় যে, তামিমের রিস্পন্সিবিলিটি ১০০ এবং আরেকটা জুনিয়র ক্রিকেটার লিটনের রিস্পন্সিবিলিটি ১০। আমি মনে করি তামিমের রিস্পন্সিবিলিটি ১০০ এবং লিটনের রিস্পন্সিবিলিটিও ১০০। তাই আপনি কম্পেয়ার করতে পারবেন না যে আপনি নতুন না পুরনো। ইউ আর গুড, এজন্যেই আপনি ন্যাশনাল টিমে খেলছেন। এখন লিটন ৫-৬ বছর যাবত ন্যাশনাল টিমে খেলছে। আমি লিটনের নাম উল্লেখ করে বলছি, কিন্তু এরকম অনেকেই আছে। তাই আপনি বলতে পারবেন না যে সিনিয়ররাই সব দায়িত্ব নেবে, কেন সিনিয়ররা সব দায়িত্ব নেবে? ইফ ইউ আর দ্যা পার্ট অব টিম, ইউ হ্যাভ দ্য সেইম রিস্পনসিবিলিটি। সুতরাং সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে। একটা দল ভালো করতে গেলে একজন প্লেয়ার ম্যাচ জেতাবে এমনটা চিন্তা করা যাবে না। আমাদের এগারো জনকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে হবে।’



সিলেটভিউ২৪ডটকম/ জাগো নিউজ /জিএসি- ০২

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন