আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কঠিন সময় পার করছে টাইগাররা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১০-০৮ ১৯:৩৪:৩০

বদরুদ্দোজা বদর :: পচেফস্ট্রুমের ফার্স্ট টেস্টে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে যাওয়ার পর ব্লুমফেন্টেইনে ঘুরে দাঁড়াবার সংকল্প ছিল টাইগারদের। কিন্তু সেকেন্ড টেস্টে ফলো অনে গিয়ে ইনিংস ডিফিট খেয়েছে তারা। টস জিতে ফিল্ডিং নেয়া, বোলিংয়ে কোন পারদর্শিতা না থাকা আর সাধারণ  মানের ব্যাটিং এর কারনে বাংলাদেশ এখন সাদামাটা একটি টেস্ট টিমে পরিণত হয়েছে। এর মাঝে মিডিয়ায় খবর এসেছে মুশফিককে ক্যাপ্টেন্সি থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখন একটি দুঃখময় সময় পার করছে টাইগাররা। দলের এই সংকটে মুখ খুলেছেন বাংলাদেশের দুই সাবেক ক্যাপ্টেন।

মুশফিককে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধেই দাঁড়াতে চান বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাঁর মতে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত মুশফিকের ক্যারিয়ারের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে, ‘ওকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়াটা ঠিক হবে না। মুশফিক খুবই আবেগী ক্রিকেটার। হুট করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটা ওর খেলার ওপর প্রভাব ফেলবে, সেটা হতে দেওয়া উচিত নয়। ওর সঙ্গে সবার বসা উচিত। অধিনায়কত্ব যদি আসলেই ওর ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা ও নিজেই নিক।’

মুশফিক টিম ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে হস্তক্ষেপের শিকার হচ্ছেন বলেই মনে করেন বুলবুল, ‘আমি বিশ্বাস করি, একটি টেস্ট দলের অধিনায়ককে হতে হবে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু মুশফিকের ক্ষেত্রে কি সেটা ঘটছে? সে বাংলাদেশ দলের সেরা ব্যাটসম্যান। সে আবার উইকেটকিপিংও করে। অধিনায়ক হিসেবেও তাকে চাপ নিতে হয়। তিনটি কাজেই অসম্ভব মানসিক শক্তির দরকার হয়। এ জন্য মানসিকভাবে ভারমুক্ত হতে হয়। টিম ম্যানেজমেন্ট মুশফিককে ভারমুক্ত থাকতে দিচ্ছে বলে আমি মনে করি না। চাপে পড়েই সে মুখ খুলেছে।’

সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ বলেন,'‘আমার কাছে মনে হয় না, এ নিয়ে কথা বলার উপযুক্ত সময় এটি। একটা সফরের মাঝে আছে দল। কে কেমন অধিনায়কত্ব করে, এটা আমরা জানি। সিরিজে ভুলত্রুটি হতেই পারে। সব সিরিজ তো এক রকম যাবে না। তবে আমার প্রশ্ন, ব্যর্থতার দায় কি শুধু মুশফিকের? টিম ম্যানেজমেন্টের কোনো দায় নেই? দল যখন ভালো খেলে সবাই বাহাবা নেয়। আর খারাপ খেললে শুধু অধিনায়ক আর খেলোয়াড়দের দোষ? টিম ম্যানেজমেন্ট এখানে ভীষণভাবেই ব্যর্থ। সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানিয়েছে তাকে কোথায় ফিল্ডিং করতে সেটা টিম ম্যানেজমেন্ট ঠিক করে দিয়েছে, এটা কি ভালো কিছু? তাহলে তো সবার আগে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে কোচকেই। যদিও প্রকাশ্যে মুশফিকের এসব বলা উচিত হয়নি। কিন্তু বিষয়টা যদি সত্যি হয়ে থাকে, কোচ যদি বাইরে থেকে এভাবে নির্দেশনা দিতে থাকে, দলের কী অবস্থা ভাবা যায়! অধিনায়ক মুশফিক ব্যর্থ হলে তাঁর বিকল্প বোর্ড খুঁজতেই পারে। প্রশ্ন হচ্ছে সময়টা নিয়ে। একটা সিরিজ চলার সময় এই আলোচনা হওয়াই ঠিক না।’।

ক্রিকেট প্রেমিরা এখন আশাবাদী হতেই পারেন যে একটি ট্যুর চলাকালীন সময়ে এমন কোন ডিসিশন নেয়া হবে না যাতে করে টিমে তার প্রভাব পড়তে পারে। টাইগাররা দুঃসময় পার করে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে সেই আশা করতেই পারি আমরা।

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন