আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

গোলাপগঞ্জে টিলাকাটার হিড়িক, নিরব ভূমিকায় প্রশাসন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৭-১১-১৪ ২১:৪৭:০৫

এনামুল হক এনাম, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের গোলাপগঞ্জে ব্যাপকহারে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে পাহাড়টিলা কাটার মহোৎসব চলছে। কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না টিলাকাটা। উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ, ফুলবাড়ী, বাঘা, ভাদেশ্বর, আমুড়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক স্পটে কারণে অকারণে অভিনব পন্থা অবলম্বন করে চলছে টিলাকাটা। কখনও ভোরে, কখনওবা রাতের আধারে ট্র্যাক্টর, ট্রাক লাগিয়ে টিলাকাটা চললেও উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন বর্তমানে টিলাকাটা বন্ধ রয়েছে।

অনেকেই অভিযোগ করে বলেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অভিনব পস্থায় প্রভাবশালী ভুমিখেকোচক্র টিলা কাটছে। এসব পাহাড় টিলা কেটে ধ্বংসের ফলে ক্রমেই বিলীন হয়ে যাচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা পাহাড় টিলায় ঘেরা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর। কিন্তু দিন দিন এক শ্রেণীর ভূমিখেকো চক্রের রোষানলে পড়ে এ উপজেলার পাহাড় টিলা ক্রমেই বিলীন হতে চলেছে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্পটে প্রকাশ্য-দিবালোকে ভূমি খেকো চক্র প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট করে চললেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।

আবার অনেকেই অভিযোগ করেন প্রশাসনকে বিষয়টি নানাভাবে অবগত করলেও তারা দায়সারা অভিযান পরিচালনা করার ফলে এ চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাতে পাহাড়টিলা ধ্বংসলীলা কোন ভাবেই থামছে না। এ নিয়ে সচেতন মহলের অভিমত কৃষিভূমির অপব্যবহার বা পাহাড়টিলা ধ্বংস রীতিমত আত্মঘাতী।

উপজেলার বাঘা ইউপির সোনাপুর এলাকার একটি টিলা, পৌরসভাধীন ফুলবাড়ী পুর্বপাড়ার ঢেফল টিলা, বিএনকে রোডে বাসাবাড়ী নামক স্থানে একাধিক টিলা, দক্ষিণ বারোকোট, ঢাকাদক্ষিণ দত্তরাইল, শিলঘাট, রণকেলী, ধারাবহর একমাইল, ভাদেশ্বরসহ বেশ কয়েকটি টিলায় কৌশলে ভূমি খেকো চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাটি কেটে সাবাড় করছে। কেউ কেউ স্ব-উদ্যোগে মাঠে বিক্রি করে এসব পাহাড় টিলায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্টান সহ বিভিন্ন ডিজাইনের ইমারত নির্মাণ করেছেন। এসব টিলা বা মাটি কাটা বন্ধে প্রশাসনের পক্ষথেকে এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা ভুমিকর্মকর্তা মামুনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে টিলা কাটা সম্পূর্ণ বন্ধ। তাছাড়া এ চক্র ভোরে মাটি কাটার ফলে ঐসময় অভিযান চালানো দূরহ। ইতিমধ্যে পাহাড় টিলা কাটা বেআইনি ঘোষনা করে মাইকিং করেছি।

উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি টিলাকাটা বন্ধ উল্লেখ করে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের কথা বলেন। এবং টিলা কাটার ছবি আগে তার ব্যক্তিগত মোবাইলের হোয়াটস অ্যাপে পাঠালে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ নভেম্বর ২০১৭/এএইচ/পিডি

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন