আজ বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং

খাওয়া নিয়ে আর কিছুরই পরোয়া নেই অর্থমন্ত্রী মুহিতের!

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০১-১৪ ১৮:০৬:২৬

সিলেটভিউ ডেস্ক :: বয়স পঁচাশিতে ছুঁই ছুঁই করায় খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কোনো কিছুরই আর পরোয়া করেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবিরের নেতৃত্বে সংগঠনটির নেতারা রবিবার সচিবালয়ের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে এই মন্তব্য করেন তিনি। এমসিসিআই নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দুটি কেক কাটেন অর্থমন্ত্রী। সংগঠনের সভাপতি নিহাদ কবিরের মুখে কেক তুলে দেন মন্ত্রী।

ক্রিমে ভরা কেক মন্ত্রীকে খাইয়ে দেবেন কি দেবেন না- এনিয়ে সংশয়ের মধ্যেই মুহিতকে কেক খাইয়ে দেওয়ার কথা বলেন নিহাদ।

মাথা নেড়ে সম্মতি দিয়ে মুহিত বলেন, “আমার এখন সব কিছুই অ্যালাওড। ১১ দিন পর ৮৪ হব। সো হোয়াই শুড আই কেয়ার?”

প্লাস্টিকের ছুরিতে করে খানিকটা কেক মুখের সামনে ধরতেই মুখে লুফে নেন মুহিত; যিনি আগামী ২৫ জানুয়ারি পূর্ণ করবেন ৮৪ বছর।

মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য হওয়া নিয়ে একেক সময় একেক কথা বলেলেও আগামী বাজেটই তার শেষ বাজেট হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন মুহিত, “অ্যাই শ্যাল ট্রাই টু গিভ এ গুড বাজেট, বিকজ দিজ ইজ লাইকলি টু বি মাই লাস্ট বাজেট,” হো হো করে হেসে ওঠেন অর্থমন্ত্রী।

১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্ম নেওয়া মুহিত এরইমধ্যে টানা নয় বছর বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণার রেকর্ড গড়েছেন।

১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ডে উচ্চ শিক্ষা নেন মুহিত। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেওয়ার পর তখনকার পাকিস্তান এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো, মুহিত তখন ওয়াশিংটন দূতাবাসে কূটনৈতিক দায়িত্বে। জুন মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন তিনি।

১৯৭২ সালে পরিকল্পনা সচিবের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগে সচিবের হন মুহিত। ১৯৮১ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে ‘অর্থনীতি ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে’ কাজ শুরু করেন ফোর্ড ফাউন্ডেশন ও আইএফএডি-তে।

১৯৮২-৮৩ সালে তখনকার এইচ এম এরশাদ সরকারের সময়ে প্রথমবারের মতো অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন মুহিত।

দীর্ঘদিন বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করার পর দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন মুহিত। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি পান অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব মুহিতের কাঁধেই রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে দেওয়া জীবন বৃত্তান্ত বলছে, মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ইতিহাস, জনপ্রশাসন এবং রাজনীতি নিয়ে ২৩টি বইও লিখেছেন মুহিত।

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন