আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-১৩ ০০:০৭:২২

মেহেদী কবীর, শাবি :: আজ আগুন ঝরা ফাল্গুনের প্রথম দিন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় দিবস। ১৯৯১ সালের ১লা ফাল্গুন ৩২০ একর জায়গায় ৩টি বিভাগে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। সে হিসেবে আজ ২৭তম বিশ^বিদ্যালয় দিবস। বিশ^বিদ্যালয় দিবসে বিশ^বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিভিন্ন আয়োজন হাতে নেয়া হয়েছে। সকাল দশটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তা শুরু হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পন, কেককাটা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালী করবে প্রশাসন।
 
১৯৮৭ সালের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ১৯৯১ সালের ১লা ফাল্গুন ৩২০ একর জায়গায় ৩টি বিভাগে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে মোট ২৭ টি বিভাগ ও ২ টি ইন্সটিটিউটএর অধীনে বিশ^বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০৪০০ জন।

এ দীর্ঘ সময়েও অবকাঠামোগত খুব একটা অগ্রসর হতে পারেনি বিশ^বিদ্যালয়টি। ১৯৮৭ সালের বিশ^বিদ্যালয় আইনে গৃহীত ৩০ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনা ২০১৬ সালে শেষ হয়ে গেলেও অর্ধেকও বাস্তবায়ন হয়নি। সময় শেষ হওয়ায় শিক্ষ মন্ত্রণালয়ের আশ^াসে নতুন করে পরিকল্পনা প্রণয়ণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ^বিদ্যালয়টি।

সিলেটভিউ টোয়েন্টিফোর এর প্রতিবেদক সাথে আলাপচারিতার এমনটিই বলেন শাবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি বিশ^বিদ্যালয়টিতে সামনের বছরগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন। নতুন বছরের পরিকল্পনায় যা যা আছে যা সিলেটভিউ এর পাঠকদের জন্য তুলে দেয়া হলোঃ

পরিবহন সমস্যাঃ বর্তমানে বিশ^বিদ্যালয়টিতে পরিবহন সংকট চরমে। গত বছরের ডিসেম্বরে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য নতুন বাস আসলেও বঞ্চিত হয়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে এবছরের জুন নাগাদ নতুন দুইটি বাস পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এর জন্য টেন্ডারও হয়ে গেছে। এছাড়া এবছরের ডিসেম্বর নাগাদ আরো একাধিক বাস শিক্ষার্থীরা পাবেন বলে আশাবাদী শাবি ভিসি।

সেশন-জটঃ বিশ^বিদ্যালয়টিতে থাকা ভয়াবহ সেশন জট কমাতে কাজ শুরু করে দিয়েছে শাবি প্রশাসন। প্রত্যেকটি বিভাগের জন্য একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন শাবি ভিসি। এ সংক্রান্ত একটি মিটিং আগামী ১৮ ফেব্রƒয়ারী অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শিক্ষকদেরকে পরীক্ষার খাতা ঠিক সময়ে দেখা ও রেজাল্ট দেয়ার বিষয়ে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বারোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া ফলাফলে দীর্ঘসূত্রিতা নতুন বর্ষের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় বর্ষে উঠে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিতে পারবেন না সংক্রান্ত নীতিমালা কার্যকর করা হবে এবছর থেকে। নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেয়া, সঠিকভাবে খাতা মনিটরিং ও নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ করার উপর জোর দেয়া হবে।

শিক্ষা- গবেষণা খাতঃ সর্বাপেক্ষা জোরদার করা হবে এই খাত। শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট চারকোটি টাকায় আশ^াস পেয়েছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া শিক্ষকদের গবেষণার জন্য প্রতিবছর আঠারো লাখ টাকা অনুদানের বিষয়ে জানান তিনি। শাবি ভিসি বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় শাবিকে রোলমডেল করে তোলার জন্য তিনি কাজ করছেন। এছাড়া মাইনর কোর্সে শিক্ষকদের আলাদা করে সম্মানি দেয়া হবে যাতে শিক্ষকরা মাইনর কোর্সগুলোতে আরো বেশী সময় দিতে পারেন। এ সংক্রান্ত অর্ধকোটি টাকার বেশী একটি অনুদান ইউজিসি দিয়েছেন বলে জানান শাবি ভিসি। উন্নত ল্যাবরেটরি নিশ্চিত করাসহ গবেষণাকার্যে বাজেট বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান।

এছাড়া প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা, বাথরুমের সুব্যবস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন হল, একাডেমিক বিল্ডিং, রাস্তা, মোটরসাইকেল ও গাড়ি রাখার ছাউনি নির্মাণ এবং ক্যাফেটেরিয়া, ডরমেটরি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, উপাচার্যের বাসভবন, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরা ও লাইটের আওতায় আনার পাশাপাশি ছাত্রী হলগুলোতে নিরাপত্তা বর্ধিত ও দালান উচুঁ করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ছয়-সাত মাস আগে বিশ^বিদ্যালয়টিতে যোগ দিয়েছি। চেষ্টা করছি শিক্ষার্থী বান্ধব একটি পরিবেশ গড়তে। এর জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আরো কিছু সময় চেয়েছেন তিনি।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/এমকে/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন