আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ঢাকায় ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার প্রস্তাবক আমাদের সামাদ আজাদ

আ-মরি বাংলা ভাষা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-১৩ ১০:৫৮:৫২

মো. এনামুল কবীর :: রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে ১৯৪৭ ও ৪৮ সালে শুরু হওয়া আন্দোলন থেমে থেমে এগুতে থাকে চুড়ান্ত পরিণতির দিকে। শাসক গোষ্ঠির নানা টালবাহানায় সিলেটসহ সারাদেশের মানুষ সচেতন হয়ে উঠেন।

বিশেষ করে ছাত্র ও যুব সমাজ। রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তারা কখনো আপোষতো করেনইনি, বরং জাতিকে সব সময় জাগ্রত রেখেছেন। আর সিলেট থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো ছিল অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায়।

আন্দোলন সংগ্রাম আর প্রতিবাদের পথধরেই এক সময় এগিয়ে আসে আমাদের গৌরব আর অহংকারের দিন, ৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারি। ইতিপূর্বে ঢাকাসহ সারাদেশে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এগিয়ে যাচ্ছিল প্রবল জোয়ারের মতো। ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকায় ছাত্র-জনতার তৎপরতা শাসক গোষ্ঠির মনে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। তারা যেকোন মূল্যে আন্দোলন বানচাল করতে তৎপরতা শুরু করে। তবে তারা সফল হতে পারেনি। বাধার মুখে আন্দোলনের গতি আরও তীব্র হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে শাসক গোষ্ঠি।

সরকারের এমন ন্যাক্কারজনক ভূমিকায় পরবর্তী কর্তব্য ঠিক করতে ছাত্র-জনতা সমবেত হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে। সর্বদলীয় ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ আন্দোলন থেকে পিছপা হননি। ঘাতকের বুলেট প্রস্তুত জেনেও তারা লক্ষে অটুট ছিলেন।

ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ, যিনি স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনিই ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহন করা হয়।

সিদ্ধান্ত হয়, ১০ জনের একেকটি দল মিছিল সহকারে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রস্তাব অনুযায়ী শুরু হলো মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত প্রদর্শন। সেই সাথে গর্জে উঠে ঘাতকের বুলেট। রাজপথে লুটিয়ে পড়লেন সালাম-বরকত রফিক-জব্বার-সফিউলসহ নাম না জানা আরও অনেক তাজা প্রাণ।

সেদিন ঢাকার কালো রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করার বিনিময়ে এক সময় বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করতে বাধ্য হয় পাক শাসক গোষ্ঠি। সমুন্নত থাকে আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ফেব্রুয়ারি২০১৮/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন