আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ইং

বাঁধে অনিয়ম: সুনামগঞ্জে ৩জন আটকের পর মুচলেকায় মুক্তি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-১৩ ১১:৩৩:২২

সিলেটভিউ ডেস্ক :: ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের অভিযোগে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনারথাল হাওরের তিন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতিদের আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধর্মপাশার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. মামুন খন্দকার পুলিশ নিয়ে চন্দ্র সোনারথাল হাওর পরিদর্শন করার সময় ওই তিন পিআইসি সভাপতিকে আটক করেন।

পরে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাঁধের প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শেষ করার অঙ্গীকারের মুচলেকা দিয়ে সন্ধ্যায় ছাড়া পান তারা।

আটক তিন পিআইসি সভাপতি হলেন— রুবেল আহমেদ, সামছুল হক ও চান মিয়া। তাদের বিরুদ্ধে ফসলরক্ষা বাঁধের কাছাকাছি থেকে মাটি তুলে বাঁধে ফেলা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে ধীরগতি, বাঁধে বালুমাটি ফেলা এবং দায়সারাভাবে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্র সোনারথাল হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে কাবিটার নীতিমালা মানা হচ্ছে না— এমন অভিযোগ পেয়ে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে হাওরটি পরিদর্শনে যান ইউএনও এবং উপজেলা কাবিটা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. মামুন খন্দকার।

হাওরের পাঁচটি প্রকল্প স্থান পরিদর্শন করে তিনি দেখতে পান, বাঁধের কাছাকাছি থেকে মাটি তুলে বাঁধে ফেলা হয়েছে। বাঁধে বালুমাটি ফেলা হয়েছে বলেও দেখা যায়। এছাড়া, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি এবং বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত কাজ দায়সারাভাবে করা হচ্ছে বলেও দেখেন তিনি।

এসব অভিযোগে সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে ওই হাওরের তিনটি পিআইসি কমিটির সভাপতি রুবেল আহমেদ, সামছুল হক ও চান মিয়াকে প্রকল্প স্থান থেকে আটক করা হয়। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই তিন পিআইসি সভাপতি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাঁধের প্রকল্প কাজ শেষ করবেন বলে ইউএনওর কাছে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইউএনও মো. মামুন খন্দকার বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই ওই তিন সভাপতি বাঁধের প্রকল্প কাজ শেষ করে দেবেন বলে লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জিম্মায় আটক হওয়া ওই তিন সভাপতিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা না মেনে কাজ করায় ওই হাওরের আরও দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ইউএনও মামুন খন্দকারের পরিদর্শনের সময় হাওরের অন্য দু’টি প্রকল্প কমিটির সভাপতি মোকাব্বির হোসেন ও লক্ষণচন্দ্র বর্মনকে বাঁধ নির্মাণের কাজে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ফেব্রুয়ারি২০১৮/ডেস্ক/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন