আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

দুই দশকেও পূর্নাঙ্গ কমিটির মুখ দেখেনি মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-১৪ ০০:৩৮:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক :: দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া এই ছাত্র সংগঠনের রয়েছে গৌরবউজ্জল ইতিহাস। ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে অনেকেই আজ দেশের গুরুত্বপুর্ণ নেতা। দেশের ৬৪ জেলার প্রতিটি উপজেলায়ই ছাত্রলীগ এখন শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

একসময়ে ছাত্রলীগ করে রাজনীতিতে আসা নেতারাই এখন দেশের হাল ধরেছেন। বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদক ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা নেতারা এখন এদেশের বড় বড় পদ জুড়ে আছেন। এখনো দেশব্যাপী কমিটি গঠন কিংবা পূর্নাঙ্গের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রলীগ।

কিন্তু, ব্যাতিক্রম মৌলভীবাজার জেলা শাখা। গত দুই দশকেও পূর্নাঙ্গ কমিটির মুখ দেখেনি এই ইউনিটটি। গত ২০ বছরে একাধিকবার এই ইউনিটের কমিটি পুনর্গঠন করা হলেও পায়নি পুর্নতা। ফলে দীর্ঘদিন ছাত্র-রাজনীতি করেও কোন পরিচয় পাননি শতাধিক ছাত্রনেতা।

জানা যায়- ১৯৯৮ সালে মবশ্বির আলীকে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও চারজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের একটি কমিটি অনুমোদন দেন। তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটিতে ২০১২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে জেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম। এরপর মো. জাকারিয়াকে সভাপতি, হোসেন ওয়াহিদ সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক ও জুবায়ের আহমদ তপুকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রলীগের একটি কমিটি অনুমোদন পায়। সর্বশেষ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেন। এতে সভাপতির দায়িত্বপান আসাদুজ্জামান রনি, সহ-সভাপতির পদে রাজন, সৈয়দা সাবরিনা, সাধারণ সম্পাদকের পদে সাইফুর রহমান রনি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাগর, অপু।

এই কমিটি গঠনের প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো হয়নি পুর্নাঙ্গ কমিটি। এতে ক্ষুব্ধ পদপ্রত্যাশী কর্মিরা।

দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন দাবি- আমরা জেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারছিনা এটা দু:খ জনক। তবে আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়ে অনুমোদন নিতে পারবো।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন