আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

তাহিরপুরে হাওরে জলাবদ্ধতা: ১৫ হাজার একর জমি অনাবাদি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০২-১৫ ০০:০৪:৩৩

এম.এ রাজ্জাক, তাহিরপুর :: তাহিরপুর উপজেলার একমাত্র বোরো ফসলী ধান চাষের হাওর শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া, জিনারিয়া, কানামুইয়া, বলদা, পানা, উলান, কলমা, নোয়াল, গলগলিয়া,  সমসা ও চুনখলা হাওর সহ ১২টি হাওরের ১৫ হাজার একর জমি জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর পাহাড়ী ঢলে বালি ও পলিমাটি পড়ে বিভিন্ন নদীর তলদেশ ভরাট হওয়া এবং হাওর থেকে পানি নিস্কাশনের অপরিকল্পিত সুইস গেট নির্মাণের ফলে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্ট্রি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থায়ী জলাবদ্ধতায় ৫ হাজার একর জমি অনাবাদি হয়েছে। তবে এলাকার কৃষকরা বলছেন, অনাবাদি জমির পরিমাণ হবে প্রায় ১৫ হাজার একর।

মাটিয়ান হাওর উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাটিয়ান হাওরের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। হাওরটির ৭ হাজার একর জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতা জনিত কারণে এসব হাওরে দিন দিন অনাবাদি জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শনির হাওর পাড়ের কৃষক কাজিনূর মিয়া বলেন, গত ১৫ বছর ধরে শনির হাওরে জলাবদ্ধতা জনিত কারণে অনাবাদি জমির পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে হাওরটির ৫ হাজার একর জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। শনির হাওরের পানি নিষ্কাশনের জন্য হাওরটির পশ্চিম দিকে অপরিকল্পিতভাবে ১৯৯৫ সালে একটি সুইস গেইট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু হাওরটির আহাম্মকখালী বাঁধের সম্মুখে বৌলাই নদীতে চর পড়ে যাওয়ায় সুইস গেইটটি দিয়ে পানি নিস্কাসন বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে হাওরটির উত্তর পশ্চিম দিকের পানি নিস্কাশনে সময় বেশী লাগে, আর এ থেকেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। হাওরটিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে অনাবাদী থাকার কারণে জমিগুলো আগাছায় জঙ্গল হয়ে পড়েছে।’

তাহিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হাওরগুলোর ৫ হাজার একর জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নানা কারণে জলাবদ্ধতা দিন দিন বাড়ছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্নেন্দু দেব বলেন, হাওরের জলাবদ্ধতা দুর করা এবং অকাল বন্যার হাত থেকে বোরো ফসল রক্ষায় নদী খননের প্রয়োজন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০১৮/ আরএস/ এমইউএ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন