Sylhet View 24 PRINT

বড়লেখায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার, নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাত

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-০৬-১৩ ০০:০৭:৩০

এ.জে লাভলু, বড়লেখা প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনার ধুম। শেষ মুহুূর্তে বৃষ্টি উপেক্ষা করেও পরিবার-পরিজনের জন্য ঈদের নতুন জামা-কাপড় কিনতে ঈদের বাজারে ছুটছেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। বিকিকিনি জমে ওঠায় বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। পৌরশহরের অভিজাত বিপণী বিতানগুলোতে এখন ক্রেতার উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে শহরের বিভিন্ন অভিজাত বিপণিবিতানে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। তবে নিম্ন আয়ের মানুষের ফুটপাতই ভরসা। সাধ আর সাধ্যের সঙ্গে মিল রেখে আপনজনদের জন্য কেনাকাটা করছেন তারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারে ঈদেও দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় পোশাকের বিপুল সমাহার। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানগুলোতে সাজিয়েছেন বিভিন্ন জনপ্রিয় মুভি ও সিরিয়ালের নাম অনুসারে দেশী-বিদেশী পোশাকে। এর পাশাপাশি শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবিসহ ছোটদের নানান ধরনের পোশাক রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির মধ্যে ক্রেতারা পৌরশহরের বিভিন্ন দোকানে ভীড় করেছেন। কেউ শাড়ি পছন্দ করছেন। তরুণীরা কিনছেন নানা নামের থ্রি-পিস। তরুণেরা কিনছেন শার্ট-প্যান্ট। কেউ কিনছেন শিশুদের পোশাক। কেউ পাঞ্জাবি। এখন কেনাকাটার শেষপর্যায় বলে জুতাসহ প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেও ভিড় বাড়ছে।
পৌরসভার পাখিয়ালা এলাকা থেকে কেনাকাটা করতে আসা তাওহিদ সারোয়ার মান্না বলেন,‘ ছোটভাইয়ের জন্য শার্ট কিনেছি। বাবার জন্য পাঞ্জাবি দেখছি। দাম সহনীয় আছে মনে হচ্ছে।’

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা আক্তার হোসেন ও মুহিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা দুজনেই পছন্দমতো শার্ট, টি-শার্ট আর প্যান্ট কিনেছি। ধাম খারাপ না।’

শাহজালাল শপিং সিটির এ-ওয়ান বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী স্বপন আহমদ বলেন, ‘বেচাকেনা ভালো হচ্ছে। আমাদের দোকানে ছেলেদের জন্য শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি রয়েছে। বেশি শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা ভীড় করছেন।’

জহির ম্যানশনের তালহা কালেকশনের স্বত্ত্বাধিকারী সুলতান আহমদ খলিল বলেন, ‘ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিকিকিনি বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন। তবে দুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। একারণে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। ’

একই মার্কেটের নিশাত এন্ড এক্সপোর্ট কালেকশনের স্বত্বাধিকারী মঞ্জুর আহমদ বলেন, ‘দেশি কাপড়ের পাশাপাশি এবারের ঈদেও ক্রেতারা ভারতীয় পোশাক বেশি কিনছেন। প্রতিদিন সকাল থেকেই আমার দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। ধম ফেলার ফুসরত নাই।’

হাবিব মার্কেটের সায়মা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী হোসেন আহমদ বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে বিকিকিনিও বেশ ভালো হচ্ছে। আমার দোকানে ঈদ উপলক্ষে ভালমানের শাড়ি, পাঞ্চাবিসহ নারী-পুরুষের জন্য বিভিন্ন পোশাকের সমাহার রয়েছে। দামও অনেকটা নাগালের মধ্যেই।’

এদিকে দিন-রাত কাজ করে নির্ঘুম কাটাচ্ছেন পৌরশহরের বিভিন্ন মার্কেটের দর্জিরা। প্রতিবারের তুলনায় এবারও পোশাকের বেশি বেশি অর্ডার থাকায় তারা এখন দিনরাত শ্রম দিচ্ছেন। কাজের চাপে অনেক দর্জি অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

ফাহিম টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী সেলিম আহমদ বলেন, ‘কাজের চাপ খুব বেশি। রাত-দিন কাজ করতে হচ্ছে। ঘুম নেই। নতুন অর্ডার আর নিচ্ছি না।’

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৩ জুন ২০১৮/এজেএল/এমকে-এম

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.