Sylhet View 24 PRINT

বিশ্বনাথে রুমি হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৮-১০-১৮ ২২:০৬:৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ  :: ‘রুমি হত্যার বিচার চাই, ঘাতক শফিকের ফাঁসি চাই’ ব্যানারে টাঙ্গাইল থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে এসে উপজেলা সদরস্থ বাসিয়া সেতুর উপর বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন করেছেন খুন হওয়া স্কুল ছাত্রী রুমির মাসহ পরিবারের সদস্যরা। রুমি হত্যাকারী ঘাতক শফিক মিয়ার ফাঁসির দাবীতে ওই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রুমির মা মমতাজ বেগম, দাদী রাবেয়া বেগম, দুই ভাই ইয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম, ফুফু আলেয়া বেগম, ময়না বেগম, মুন্নি বেগম, ফুফা আবদুল মজিদ, তারা মিয়া, আবদুস সালাম প্রমুখ।

রুমি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার নগরভাত গ্রামের আতাউর রহমানের একমাত্র মেয়ে ও স্থানীয় মৈশামূড়া বসন্ত কুমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। আর রুমীর হত্যাকারী ঘাতক শফিক বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াব উল্লাহর পুত্র। সে থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর বর্তমানে কারান্তরীণ রয়েছে।

একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা মমতাজ বেগম মেয়ের কবরটি দেখতে প্রায় ৪শ কিলোমিটার অতিক্রম করে স্বপরিবারে চলে যান সিলেটের মানিক পীর টিলায়। সেখান থেকে হযরত শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারত করেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বনাথ থানায় এসে ওসির সাথে দেখা করে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে যান ছুটে যান যেখানে রুমি’র লাশ পাওয়া যায়, সেই স্থানটি এক নজর দেখতে। এসময় রুমি’র মা মমতাজ বেগম ও দাদী রাবেয়া বেগমের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পাঠাকইন-রামচন্দ্রপুর এলাকা। তাদের কান্না দেখে স্থানীয় অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।

রুমির মা মমতাজ বেগম মানববন্ধনে বলেন, তার মেয়েকে যে (শফিক) পাষন্ড খুন করেছে তার যেন ফাঁসি হয়। তাকে যেন ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মারা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিদেশী বরের সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার স্কুল ছাত্রী রুমি আক্তারকে (১৬) বিশ্বনাথে নিয়ে আসে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ওয়াব উল্লাহ’র পুত্র শফিক মিয়া (৩২)। নিজ বসত ঘরে একাধিকবার ধর্ষণ করে রুমিকে নির্মমভাবে খুন করে তার লাশ পাঠাকইন-রামচন্দ্রপুর সড়কের পাশে তবারক আলীর বাড়ির সামনে ফেলে পালিয়ে যায় সে। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে ওই লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ১৬ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওহাব উল্লাহ’র দুই পুত্রবধূ (শফিকের ভাবী) দিপা বেগম ও লাভলী বেগমকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দু’দিন পরে মির্জাপুরের গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপাড়া থেকে বিয়ে পাগল শফিককে ও সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে তার এক স্ত্রী সোনালী আক্তার হ্যাপীকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে রুমিকে হত্যার কথা স্বীকার করে পূর্বে একটি ধর্ষণ ও একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামী শফিক।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৮ অক্টোবর ২০১৮/পিবিএ/আরআই-কে

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.