আজ বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ধন্যবাদ

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২১ ১২:০৮:৩৮

মারুফ খান মুন্না :: দেশের চতুর্থ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের কার্যক্রম। আয়তনের দিক থেকে সিলেট দেশের ছোট একটি বিভাগ হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় সিলেটেই দেশের চতুর্থ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর এর পিছনে অবদান সিলেটের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবং জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার- এমনটি জানালেন বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে নয়টায় নগরীর সিভিল সার্জনস্থ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর মধ্য দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টি।

ভাইস চ্যান্সেলরের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সকাল দশটায় কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় তিনি বলেন, সিলেটের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর আন্তরিক। সিলেট ছোট একটি বিভাগ হওয়ায় আপাতত এখানে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা নয়। কিন্তু শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের প্রচেষ্টায় গুরুত্ব বিবেচনায় সিলেটে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি সিলেটের কৃতিসন্তান আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানম্নত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যসেবা খাতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে দেশে মাত্র একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। সেখানে গত পাঁচ বছরেই আরো তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। ১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর বলে জানান তিনি। স্বাস্থ্যসেবা নিসচিত করতে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ এবং প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন,  আগে যেখানে যন্ত্রপাতি কম ছিলো, সেখানে আমরা দেশেই অনেক ভারী ভারী এবং উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন যত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে লোকবল তৈরি হয়েছে। দেশে দুই শতাধিক মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং হোমসহ  সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে সহস্রাধিক। তবে শুধু ‘ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা’ প্রতিষ্ঠান থাকলেই চলবে না, সেগুলোর মানোন্নয়ন প্রয়োজন। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে আমরা এমডিপি, ভিটামিন ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনসহ স্বাস্থ্যসেবার বিভিন্ন প্রজেক্টে আমরা দারুণ সফলতা অর্জন করেছি। তিনি জানান, দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাত উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষাখাতের উন্নয়ন প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে প্রতিটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দিলেই হবে না তাদের প্রাকটিক্যালি হাতে কলমে শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য ভালো শিক্ষক, শিক্ষার পরিবেশ এবং উপযুক্ত ক্লাসরুমের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য বলে জানান তিনি।

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলরের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি জানান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা যেকোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেওয়া সহজ কিন্তু বাস্তবায়ন করা কঠিন কাজ। শেখ হাসিনা আমার উপর, আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন, তার আস্থার প্রতিদান দিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবো। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণের পর ডিপিবি হয়ে গেলে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে জানান তিনি।

তিনি বক্তব্যের শুরুতেই ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সকল ভাষা সৈনিক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদসকল বীরদের শ্রদ্ধা জানান। অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণের জন্য নির্ধারিত জায়গা দেখতে সিলেট দক্ষিণ সুরমার কামালবাজার এলাকায় পরিদর্শনে যান।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডিজি এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডা.  মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেটের সকল সরকারী-বেসরকারী কলেজ, নার্সিংহোম এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এমকে-এম

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন