আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ইং

কমলগঞ্জে বরযাত্রীবাহী গাড়ি ভাঙচুর করে দুধর্ষ ডাকাতি : আহত-১৩

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২২ ১৬:১০:০১

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারেরর কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর-পীরেরবাজার সড়কে ময়না বুড়ির ঘর সংলগ্ন সড়কে অবরোধ করে বরযাত্রীবাহী ১০টি গাড়িতে দুধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। চারটি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর ও হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে আহত করেছে। ডাকাতরা দু’দফায় নগদ অর্থসহ একাধিক মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনাটি ঘটে।

আক্রান্ত বরযাত্রী ও উদ্ধারে যাওয়া আহত ব্যবসায়ীরা জানান, রাস্তায় একটি প্রাইভেট কার এলোপাতাড়ি ভাবে রেখে অতর্কিতভাবে ২০ থেকে ২৫ জনের ডাকাতদল ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বিয়ের বরযাত্রীবাহী চারটি গাড়ি ভাঙচুর করে ডাকাতরা নারী পুরুষদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। বরযাত্রী সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সুরৎ পাল জানান, শমশেরনগরে সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সদস্যসহ ডাকাতদের হামলায় বরযাত্রীদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

খবর পেয়ে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে বরযাত্রীদের উদ্ধারে গেলে ডাকাতদল তাদের উপর হামলা চালিয়ে দ্বিতীয় দফা ইউপি সদস্যসহ কয়েকজনকে আহত করে। আহতরা রাতেই বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডিসপেন্সারীতে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। শমশেরনগর ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান চৌধুরী ও ব্যবসায়ী আনোয়ার খান বলেন, খবর পেয়ে পিকআপসহ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাবার কিছু দুরে পুলিশ থেমে যায়। এ সময় একটু এগিয়ে গেলেই ডাকাতদল হামলা চালিয়ে নগদ ৮ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়। তাছাড়া প্রাইভেট কারও ভাঙ্গচুর করে। ব্যবসায়ী আনোয়ার খান ও আবু বক্কর সিদ্দিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।  ইউপি সদস্য আজিজ, ব্যবসায়ী আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ না বললে তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতেন না।

বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে বিক্ষোব্ধ লোকজন শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির সামে এসে জড়ো হয়। পরে কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। শমশেরনগর ফাঁড়ির এস.আই. শাহ আলম বলেন, মোবাইল ট্রাকিং করে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তবে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দেয়নি। কমলগঞ্জ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানান, খুব গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের ধরার ও লুন্ঠিত মোবাইল ফোনগুলি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে টহলে ছিল। আর পুলিশ ফাঁড়িতে যে কয়েকজন সদস্য ছিল তারাই সেখানে গিয়েছিল।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ জেএ/এনএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন