আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সিলেট নগরবাসীর প্রতি মেয়র আরিফের সতর্কবার্তা

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২৩ ০০:১০:৫৪

এনামুল কবীর :: সিলেট মহানগরীর নাগরিকদের প্রতি বিশেষ সতর্কবার্তা দিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। খুবই স্পর্শকাতর দুটি বিষয়কে তিনি সিলেটবাসীর জন্য ‘অশনি সংকেত’ বলে অভিহিত করেছেন। বিষয় দুটি হচ্ছে ‘ডিভোর্স’ ও ‘মোবাইল ফোন’। শেষোক্ত বিষয়ে সমাধানের পথ বাতলে দিলেও ডিভোর্সের ব্যাপারে কেবল সতর্কবার্তাতেই থেমে গেছেন তিনি।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেটের হাউজিং এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেটের মেয়র এই  সতর্কবার্তা দিয়েছেন।

মেয়র তার বক্তব্যে সিলেটের উন্নয়নে সব নাগরিকের আন্তরিকতার ব্যাপক প্রশংসা করেন। উন্নয়ন কাজে কোটি কোটি টাকার সম্পদ দানকরীদের সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানোর প্রতিশ্রুতি আবারও ব্যাক্ত করে মেয়র আরিফ বলেন, সিলেটবাসীর কাছে আগে উন্নয়ন, পরে রাজনীতি বা অন্যান্য বিষয়। এক্ষেত্রে আমরা দলমত নির্বিশেষে অতীতের মতো এখনও ঐক্যবদ্ধ।

এরপর মেয়র উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সহযোগিতার দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন সেই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি তাকে দিয়েছেন।

মেয়র তার বক্তব্যের শেষের দিকে এসে সিলেটবাসীর জন্য দুটি অশনী সংকেত বিষয়ে সতর্কবার্তা প্রদান করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনই তার কাছে অন্তত ২০ থেকে ২৫টি ডিভোর্সের আবেদন যাচ্ছে।

সমস্যাটির দিকে ইঙ্গিত করলেও এর সমাধানের কোন উপায় বলেন নি মেয়র। তবে বিষয়টির প্রতি অভিভাবকসহ নাগরিক সমাজের সচেতনতা কামনা করেছেন তিনি।

তার দ্বিতীয় সতর্কবার্তার বিষয় মোবাইল ফোন। এই অতিগুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে সিলেটের যুবসমাজ, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সেই সাথে এর থেকে মুক্তির পরামর্শও দিয়েছেন।

তার মতে, মোবাইলের অপব্যবহার রোধ করতে রাত ১০টার পর ছেলে-মেয়েদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি অভিভাবকদের জিম্মায় নিতে হবে। দিনে তারা স্কুল কলেজসহ অন্যান্য কাজকর্মে ব্যস্ত থাকে, আর রাত ১০টার পর ব্যস্ত হয়ে পড়ে মোবাইলে।

মেয়র আরিফের এই বক্তব্য উপস্থিত সুধিজন হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান।

এছাড়াও তিনি হাউজিং এস্টেটবাসীর কাছে নগরীর উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতা পত্যাশা করেন। জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে এবং কেউ ছড়া বা খাল দখল করলে তা সমাধান বা উদ্ধারে হাউজিং এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন তিনি।

হাউজিং এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও পরিবেশবিদ আব্দুল করিম কিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। আরিফ ছাড়াও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আসাদসহ হাউজিং এস্টেটের সর্বস্থরের সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন