আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ছায়া জাতিসংঘের তৃতীয় সম্মেলন সম্পন্ন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২৪ ০১:৪৫:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ‘সামাজিক সক্ষমতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শেষ হলো লিডিং ইউনিভার্সিটি ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন-২০১৯ (এলইউমুনা-১৯)।

গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩ টায় কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের হলরুমে চারদিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।

২য়, ৩য় ও ৪র্থ দিনে লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ক্লাসরুম ও গ্যালারিতে সম্মেলনের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘের পূর্ণ আমেজ পেতে সিকিউরিটি কাউন্সিলের ৩য় দিনের অধিবেশন খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়, যা ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনে প্রথম।

রবিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুরষ্কার বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোজনোৎসব এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় চার দিনের এই সম্মেলন। শেষ দিনের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাগিব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগিব আলী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মেজর (অব.) মো. শাহ আলম পিএসসি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইকরামুল কবির এবং এলইউমুনার উপদেষ্টা তাহরিমা চৌধুরী জান্নাতসহ আরো অনেকেই।

এলইউমুনার প্রশংসায় ড. সৈয়দ রাগিব আলী বলেন, একজন আদর্শ শিক্ষার্থী হতে গেলে যা যা গুণাবলী প্রয়োজন, আমি সে-সকল গুণ এই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে নিখুঁতভাবে খুঁজে পাই।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের সমর্থন জানিয়ে প্রফেসর ড. মো: কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, এলইউমুনার সদস্যরা যেমন ছায়া জাতিসংঘের মাধ্যমে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে তৈরি করে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তেমনই লিডিং ইউনিভার্সিটিকে সর্বস্তরে পরিচিত করতে সহায়তা করছে।

এবারের সম্মেলনে ১৮০ টিরও বেশী দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে যোগ দিয়েছিলো ৩২৫ জন প্রতিনিধি, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ভারত ও নেপাল থেকে ছিলো ১৩ জন প্রতিনিধি। এই প্রতিনিধিরা যোগ দিয়েছিল দেশ ও বিদেশের ৪৫টিরও বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। এ সম্মেলনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক সক্ষমতা, মানবাধিকার, নারী উন্নয়নসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা বিধানে আলোচনা করেন প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদের আলোচনা যৌক্তিক প্রসার করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে ২৩ জন বিচারক অংশগ্রহণ করেছিলেন।

সম্মেলনটি পরিচালিত হয়েছে একটি সচিবালয় পরিষদ দ্বারা যার প্রধান ছিলো এজাজুল হক চৌধুরী (মহাসচিব), এবং মো. শামান্নুর মহিয়ান সায়ের ও রুবেল আহমেদ (সহকারী মহাসচিব), মো. ওলিউর রহমান (মহাপরিচালক), আশরাফুল ইসলাম জকি (কর্মচারি প্রধান), সাইফ আহমদ (নিরাপত্তা প্রধান), এবং তেরজন অধীনস্থ মহাসচিব, তেইশজন পরিচালক, পঁচিশজন সহকারী পরিচালক, তিনজন উর্ধ্বতন কার্যনির্বাহক এবং ২২জন কার্যনির্বাহক।

ছায়া জাতিসংঘ বা মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস জাতিসঙ্ঘের একটি অনুরুপ অনুশীলন যার লক্ষ্য হচ্ছে গবেষণা, বিতর্ক, উপস্থাপন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতি বিষয়ে একজন প্রতিযোগীকে শিক্ষিত করে তোলা। এটা বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় ছায়া জাতিসঙ্ঘের মাধ্যমে চালিত হয় যেখানে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা একজন কুটনৈতিকের ভূমিকা পালন করে থাকে।

এবারের সম্মেলনটি সম্পন্ন করতে সহায়ক হিসেবে ছিল গ্রীণ ডেল্টা ইনস্যুরেন্স, মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো সময় টিভি, হসপিটালিটি পার্টনার হিসেবে ছিলো হোটেল ওরিয়েন্টাল, অনলাইন মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ও ‘সিলেটভিউ২৪ডটকম’।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ডিজেএস

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন