আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ইং

সিলেটের অভিজাত হাউজিং এস্টেটের একাল-সেকাল

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২৪ ১০:১১:২২

এনামুল কবীর :: সিলেটের অভিজাত আবাসিক এলাকা হিসাবে খ্যাত হাউজিং এস্টেট অর্ধশতাব্দী পূর্ণ করল। আজকের শান্ত ও নিরাপদ এই আবাসিক এলাকাটি বাসাবাড়ি স্কুল কলেজ রাস্তাঘাট আর পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়ে সিলেট মহানগরীর জন্য একটি আদর্শ উদাহরণ। খেলার মাঠ আর নিজস্ব একটি মসজিদ ছাড়া বলতে গেলে আর কোন কিছুরই অভাব নেই এখানে। অথচ এর যাত্রা শুরুর সময়ে বাড়ি করতে ব্যর্থতার জন্য পুরো ৫৫টি প্লটের বরাদ্দ কিন্তু বাতিল হয়েছিল।

শুক্রবার রাতে হাউজিং এস্টেটের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাদের স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে বেশ কিছু মজার মজার তথ্য। আজকের প্রজন্মের জন্য তা বলতে গেলে অবিশ্বাস্যই বটে।

হাউজিং এস্টেট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এম এ করিম চৌধুরীর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে সেকালের হাউজিং এস্টেটের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

যাত্রা শুরু সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে স্থানীয় একটি পত্রিকায় তখনকার ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল সিলেট নগরীর উত্তরপূর্বের এই এলাকাটিতে ১৫৬টি প্লট বরাদ্দের ঘোষণা দেয়। শর্ত ছিল ৩ বছরের মধ্যে অবশ্যই বাড়ি নির্মাণ করতে হবে।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্লটগুলো বরাদ্দ দেওয়া হলেও ৭৩ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে মাত্র ৩৩টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল।

করীম চৌধুরী জানান, বাড়ি নির্মাণ না করায় ১৯৭৪ সালে ৫৫টি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করা হয়। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও হয়েছিল।

তবে শুরুতে কিন্তু ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল প্লট বরাদ্দ ছাড়া আর তেমন কোন অবকাঠামো নির্মাণ বা নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের চেষ্টা করেনি। ৭৪ সালের জুলাই থেকে যারা বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে লাইটিং ময়লা আবর্জনা ও পানি নিষ্কাষনের কাজ শুরু করেছিলেন বলেও জানালেন তিনি।

তখন একটি কমিউনিটি সেন্টার ও একটি মসজিদ তারা নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের জমি দিয়েছিলেন মহি উসসুন্নাহ চৌধুরী।

তবে দুঃখজনক একটি ঘটনায় আজও বেদনায় ভারাক্রান্ত হলেন করিম চৌধুরী। বললেন, ছড়া কাটার নাম করে কমিউনিটি সেন্টারটি ভেঙে ফেলেছিলেন কর্মকর্তারা। অনেক অনুনয় বিনয়ের পরও তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

এরপর অবশ্য জেলা পরিষদের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে আরেকটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হয় যা এখনও টিকে আছে।

তিনি বলেন, আজ আমাদের সব আছে। তবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো আমরা আজও পাইনি। তার একটি হলো মসজিদ ও অপরটি হচ্ছে খেলার মাঠ।

করিম চৌধুরীসহ অন্যান্য বক্তারা খেলার মাঠ ও মসজিদের অভাব দুর করতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, বিশেষ অতিথি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফুর রহমানের প্রতি জোরালো আহŸান জানান।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/এক

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন