আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

প্রবাসীদের হয়রানী বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : ড. মোমেন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০২-২৪ ১০:২৮:১৩

মো. জিল্লুর রহমান জিলু, বালাগঞ্জ :: প্রবাসী বালাগঞ্জ ওসমানীনগর ট্রাস্ট ইউকের ২০১৯ সালের বৃত্তি প্রদান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের খন্দকার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ প্রদান করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, প্রবাসীদের অর্থ কাজে লাগাতে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। প্রবাসীদের জমিজমা নিয়ে যাতে কোন হয়রানীর শিকার হতে না এ ব্যাপারেও বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রবাসীরা যাতে দেশে এসে বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার না হন সে জন্যও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমান সরকার দেশ এবং জনগনের উন্নয়ন চায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে সামিল হওয়ার জন্য তিনি প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বালাগঞ্জ ওসমানীনগরের শিক্ষার উন্নয়নে প্রবাসী ট্রাস্টের অবদানকে সাধুবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বিশেষ অতিথি সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী আগামী এক বছরের মধ্যে বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার সংযোগ রক্ষাকারী নশিওরপুর-খন্দকার বাজার সড়কের বড়ভাঙ্গা নদীর ওপর নতুন পাকা সেতু স্থাপনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের মাধ্যমে বালাগঞ্জ ওসমানীনগরে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী বালাগঞ্জ ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন রবিন পাল।

ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. সৈয়দ মুদাচ্ছির আলী, সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মুকাব্বির খান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য (সিলেট-সুনামগঞ্জ) শামীমা শাহরিয়ার, ইসলামী ফাউন্ডেশনের ডিজি শামীম মুহাম্মদ আফজাল, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, টাওয়ার হ্যামলেট্স এর কাউন্সিলর ও মেয়র মোহাম্মদ আয়াছ, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক চৌধুরী, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর, ট্রাস্টের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল কামাল, বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির আহবায়ক নাজমুল হক বাবলু, সদস্য সচিব প্রবাসী কমিউনিটি নেতা জামাল আহমদ খান, ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল মিয়া, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া, ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুমন চন্দ্র দাস, সহকারী পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম, বালাগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ লিয়াকত শাহ ফরিদী, ইসলামিক ফাউ-েশনের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জগলু চৌধুরী, সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, জেলা পরিষদ সদস্য সুষমা সুলতানা রুহি, স্থানীয় দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন, উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া, পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বালাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ মতিন, এডুকেশন ট্রাস্টের সহ-সভাপতি আনছার মিয়া, কোষাধ্যক্ষ আনছার মিয়া, ট্রাস্টি ঝলক পাল, আছাব আলী, হাজী সাইস্তা মিয়া, আলিম আল রাজি জামান, কিনুমুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুছ শেখ, হাজী রুহেল আলী, হাজী আনহার মিয়া, আব্দুল আলী, শাহীন আহমদ, আব্দুস শহিদ চৌধুরী বাদশা, সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট জুয়েল আহমদ, খন্দকার বাজার উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমএ শহীদ বাবলু, নর্থইস্ট বালাগঞ্জ কলেজের ভূমিদাতা সদস্য হাজী সাইস্তা মিয়া, সমাজকর্মী নূরুল ইসলাম চৌধুরী লয়লা, চঞ্চল পাল, জুবায়ের আহমদ শাহীন, আবরার মোস্তফা খান প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ আব্দুল মুক্তাদির লায়েক। গীতা পাঠ করেন গীতা দাস।

উল্লেখ্য ১৯৯১ সালে তৎকালিন বালাগঞ্জের শিক্ষার উন্নয়নে ৯ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রবাসী বালাগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ওসমানীনগর পৃথক উপজেলা হলে ট্রাস্ট’র নাম সংশোধন করে ‘প্রবাসী বালাগঞ্জ ওসমানীনগর এডুকেশন ট্রাস্ট’ নামকরণ করা হয়। এ বছর দুই উপজেলার ৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীকে জনপ্রতি ৪ হাজার টাকা করে প্রায় ৪০ লাখ টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ট্রাস্টের প্রায় ১২কোটি টাকার মূলধন রয়েছে। এ টাকার লভ্যাংশ থেকে প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/জেআরজে/ডিজেএস

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন