Sylhet View 24 PRINT

সিলেটে বাড়ছে অতিথিদের ভীড়, বাড়ছে শংকাও

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১৫ ০০:২৮:৫৪

এনামুল কবীর :: আবারো টানা ছুটির কবলে বাংলাদেশ। এরমধ্যে সিলেটে আবার একদিন বেশী। পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের সুবাদে। আধ্যাত্মিক ও পর্যটন নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে বোর্ডারের চাপ এখনো সহনীয়। তবে শুক্রবার থেকে তা আরো কয়েকগুণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সেই সাথে অতিথিদের স্থান সংকুলান না হওয়ার শংকাও প্রকাশ করছেন তারা।

মাসখানেক আগেও এমন অবস্থা হয়েছিল। ২১ ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে টানা তিনদিনের ছুটির কবলে পড়েছিল সারাদেশ। তখন শীত ছিল। সুবাদে হযরত শাহজালাল-শাহপরাণ (র.) এর মাজার জিয়ারত আর সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো দেখার জন্য পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। নগরীর প্রায় সব হোটেলেই ছিল ‘ঠাঁই নেই-ঠাঁই নেই’ অবস্থা। প্রচুর মানুষকে থাকতে হয়েছে বিভিন্ন ভবনের বারান্দায়।

এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে একই রকম অবস্থার আশংকা করছেন রেষ্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা। সারাদেশে ৪ দিন ছুটি হলেও সিলেটে তা একদিন বেশী। উপজেলা নির্বাচনের সুবাদে। ১৮ মার্চ সিলেট বিভাগের সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার উপজেলা নির্বাচন। এ উপলক্ষে দুই জেলায়ই সরকারি ছুটি সেদিন।

মানে সিলেটে শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে টানা ৪ দিনের সরকারি ছুটি। শনিবার পর্যন্ত সপ্তাহিক ছুটি শেষে রবিবার, ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। এরপর ১৮ মার্চ উপজেলা নির্বাচন।

টানা ৪দিনের ছুটিতে সিলেটে ইতিমধ্যে পর্যটকদের আনাগুনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাস-রেলওয়ে স্টেশনে ছিল উপছে পড়া ভীড় দেখা গেছে। ভীড় হযরত শাহজালাল (র.) এর দরগাহ প্রাঙ্গনেও।

রাত ৯টার দিকে দরগাহ প্রাঙ্গণে ছিল অস্বাভাবিক ভীড়। নারী-শিশুসহ সব বয়সের মানুষই আছেন। দলে দলে বসে, কেউ কেউ জিকিরে মশগুল আর অন্যরা চাদর বিছিয়ে শোয়ার আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন।

এই এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোর রিসিপশনেও ভীড় দেখা গেছে। তবে ম্যানেজার বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখনও বোর্ডারদের চাহিদা তারা মেটাতে পারছেন। ‘সিট খালি নাই’ জাতীয় নোটিশ এখনও ঝুলানোর প্রয়োজন হয়নি। তবে শুক্রবার থেকে তা দেখা যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন কয়েকজন।

হোটেল জিয়ার ম্যানেজার আব্দুল গণি এ প্রসঙ্গে বলেন, এখনও সেরকম চাপ সৃষ্টি হয়নি। আমাদের কয়েকটি রুম খালি আছে। শুক্রবার বিকেল থেকে কি অবস্থা হবে তা এখনও বলা যাচ্ছেনা। তবে বোর্ডারের চাপ বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশী।

প্রায় একইরকম ধারণা করছেন এই এলাকার হোটল আল-আমীন, আল-ইয়ামনি, ময়রুননেছা, কোরেইশী ও জাহাঙ্গীরের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরবাজারসহ লালবাজার এলাকার হোটেলগুলোতেও ভীড় ক্রমশঃ বাড়ছে। হোটেল বনগাঁওয়ের ম্যানেজার রাহাতুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, ঐ এলাকায়ও বোর্ডারদের চাপ ক্রমশঃ বাড়ছে। এখনো ‘সিট খালি নেই’ জাতীয় কিছু ঝুলানোর প্রয়োজন না হলেও শুক্রবার থেকে তার প্রয়োজন হতে পারে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/ ১৫ মার্চ ২০১৯/এক

সম্পাদক : মো. শাহ্ দিদার আলম চৌধুরী
উপ-সম্পাদক : মশিউর রহমান চৌধুরী
✉ sylhetview24@gmail.com ☎ ০১৬১৬-৪৪০ ০৯৫ (বিজ্ঞাপন), ০১৭৯১-৫৬৭ ৩৮৭ (নিউজ)
নেহার মার্কেট, লেভেল-৪, পূর্ব জিন্দাবাজার, সিলেট
Developed By - IT Lab Solutions Ltd.