আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

সেই আলোচিত নুনু মিয়া এবার আ.লীগের জনপ্রতিনিধি

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-১৯ ০০:১৪:০৮

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: প্রথমবারেই বাজিমাত করেছেন এস এম নুনু মিয়া। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর এই সদস্য বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন।

একবারের চেয়ারম্যান বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরীকে পরাজিত করে এবার চেয়ারম্যান হয়েছেন নুনু মিয়া।

এস এম নুনু মিয়া সিলেটের তালতলাস্থ গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলার পরবর্তী ঘটনায় আলোচিত।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ আগস্ট গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওইদিন গুলশান সেন্টারে আওয়ামী লীগের সভা শেষে নেতাকর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় হামলা হয়। হামলায় মহানগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন প্রচার সম্পাদক মো. ইব্রাহিম আলী নিহত হন। ২১ জন নেতাকর্মী আহত হন।

ঘটনার পরদিন সিলেট কোতোয়ালী থানার তৎকালীন এসআই মো. এনামুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

গ্রেনেড হামলার ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম নুনু মিয়াকে।

গ্রেফতার করে নুনু মিয়াকে রিমান্ডে নেয়া হয়। হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করতে তার ওপর নির্যাতনও চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে অধিকতর তদন্তে ঘটনার সাথে নুনু মিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। মামলা থেকে অব্যাহতি পান তিনি। মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার, কারাবরণ প্রভৃতি কারণে সিলেটে আলোচিত ছিলেন নুনু মিয়া।

প্রসঙ্গত, গুলশান সেন্টারে গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার রওনকুল হক চৌধুরী জেএমবির শীর্ষ নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় জঙ্গি শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল, মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে জান্দাল, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি, আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, দেলোয়ার হোসেন রিপন, হুমায়ুন কবির হিমু ও মাওলানা তাজ উদ্দিনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/১৯ মার্চ ২০১৯/আরআই-কে

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন