আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং

ছাতকে দপ্তরী নিয়োগে অনিয়ম, গঠিত হচ্ছে তদন্ত টিম

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২০ ১২:৫৬:১৯

ছাতক  প্রতিনিধি :: ছাতকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের বিষয়টি এখন টপ অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

প্রতিদিনই এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে দিচ্ছেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। বিষয়টি নিয়ে অফিস পাড়া ও সাধারন মানুষের মধ্যে সমালোচনা চলছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবেদা আফসারী জানান, কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি টিম গঠন করে তদন্ত করা হবে।

উপজেলার কারারুকা ইউনিয়নের পীরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বঞ্চিত পীরপুর গ্রামের গিরিজা কান্ত দাসের পুত্র গোবিন্দ দাস ও একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা উপেন্দ্র মালাকারের পুত্র দিপক মালাকার মঙ্গলাবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক অভিযোগ দেন।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দিপক মালাকারের অভিযোগ থেকে জানা যায়, পীরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে ৩ জন প্রার্থী আবেদন করে। উশিঅ/ছাতক/ সুনাম-২০১৯/১৮২(৫০) স্মারক অনুযায়ী গত ১০ ফেব্রুয়ারি নোটিশ বোর্ডে একটি বিজ্ঞপ্তি সাটানো হয়।

এতে মৌখিক পরীক্ষার জন্য প্রার্থীদের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়।

যথারীতি অন্য দু’প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা গ্রহন করা হলেও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দিপক মালাকারের পরীক্ষা গ্রহন করা হয়নি। বিধি বর্হিভুতভাবে দু’জনের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তিন জনের নাম পরীক্ষা তালিকায় দেখানো হয়। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী একটি পদের বিপরীতে অন্তত ৩ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।

এখানে নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে স্কুল কমিটির সভাপতির ভাতিজাকে নিয়োগ দেয়া হয়।

নিয়োগ প্রত্যাশী ৩ জনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দিপক মালাকার কাগজপত্র সঠিক নয় বলে তার পরীক্ষা নেয়া হয়নি, অপরজন গোবিন্দ দাস নিয়োগ বোর্ডের জনৈক ব্যক্তির উৎকোচের দাবী ১ লক্ষ টাকা পুরন করতে পারেনি বলে তার নিয়োগ হয়নি এমন কথাই তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার দেবেরগাওঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি হিসাবে তপু দত্ত নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যার জন্মদিন ১৫ মার্চ ১৯৭১ বিধিমালা অনুযায়ী যা সম্পুর্ণ অবৈধ। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ্ এর যোগসাজশে তথ্য গোপণ করে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পেয়েছে ক্যাচম্যান্ট এলাকার বাইরের ইসলামপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা মোশারফ হোসেন।

ক্যাচমেন্ট এলাকার নিয়োগ প্রত্যাশী বাতিরকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ূমের পুত্র ফরিদ আহমদ এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এছাড়া উপজেলার কুমনা, বাতিরকান্দি, কাড়ইলগাঁও, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় সদ্য নিয়োগ দেয়া সব ক’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ প্রদানে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

সিলেটভিউ২৪ডটকম/২০ মার্চ ২০১৯/মাআ/ইআ

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন