আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ইং
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :: নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তাদের খোঁজ আর মিলে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এটাই যেন স্বাভাবিক! তবে কখনো কখনো ব্যতিক্রমও হয়। এই ব্যতিক্রম তৈরি করেন কিছু ব্যতিক্রমী মানুষ। তাদেরই একজন মাজহারুল ইসলাম ডালিম।
সদ্য শেষ হওয়া সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ডালিম। তবে হেরে যান শেষ পর্যন্ত। কিন্তু হেরে গিয়েও দমে যাননি খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাবেক এই চেয়ারম্যান।
বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা মাজহারুল ইসলাম ডালিম দল থেকে অব্যাহতি নিয়ে এবার সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। খাদিমপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অভিজ্ঞতা, উন্নয়ন কাজ এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আগ্রহী হয়ে এবার উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ২৮ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়া আশফাক আহমদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিলেন মাজহারুল ইসলাম ডালিম। এবারের নির্বাচনে আশফাকের জন্য মাথাব্যথার কারণ ছিলেন ডালিম। নির্বাচনে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা না পেলেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত জিততে না পারলেও তুমুল জনপ্রিয়তার প্রমাণ পেয়েছেন ডালিম। বিশেষ করে নিজের ইউনিয়নের একটি ছাড়া বাকি সকল কেন্দ্রেই জয়ী হন তিনি। যে কেন্দ্রে জয় পাননি, সে কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে।
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর হতাশায় মুষড়ে পড়েননি মাজহারুল ইসলাম ডালিম। নির্বাচনের পর তিনি উপজেলার গ্রামে গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন, সাধারণ মানুষকে নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
ডালিমের এই ব্যতিক্রমী মনোভাব উপজেলার অনেক মানুষের মনেই এখন আফসোসের জন্ম দিচ্ছে। তারা মনে করছেন, পরাজিত হওয়ার পরও ডালিম যে দৃষ্টান্ত দেখাচ্ছেন, জয়ী হলে নিশ্চয়ই আরো বেশি নিবেদিত হয়ে এলাকার জন্য কাজ করতেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মাজহারুল ইসলাম ডালিম বলেন, ‘এলাকার মানুষের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা অতুলনীয়। আমি সবসময় এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম, পাশে আছি, আগামীতেও থাকবো। মানুষের ভালোবাসাই আমার এগিয়ে চলার শক্তি।’
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২২ মার্চ ২০১৯/শাদিআচৌ/আরআই-কে