আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ইং

হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে শাবিতে মানববন্ধন

সিলেটভিউ টুয়েন্টিফোর ডটকম, ২০১৯-০৩-২৪ ১৫:১৫:০৭

শাবি প্রতিনিধি :: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজীব সরকারের উপর হামলার ঘটনা এবং হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন পরবর্তী এক সমাবেশে রাজীব সরকারের উপর হামলায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানান তারা।

সূত্র জানায়, বাংলা সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান মিলনের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন বিভাগের শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতিকর্মী রণদা প্রসাদ তালুকদার, রুবাইয়াত, আসহাব চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মানুষের দলমত ভিন্ন পন্থা থাকতে পারে। কিন্তু একজন শিক্ষার্থী হয়ে কিভাবে আরেকজন শিক্ষার্থীকে কিভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালাতে পারে সেটা বোধগম্য নয়।

অপরাধী কোনো দল বা মতের হতে পারে না। অপরাধীদের কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। যারা এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ন্যুনতম যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাই, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে।

এসময় সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি এ ঘৃণ্য কর্মকান্ডে বাংলা বিভাগেরই একজন শিক্ষার্থীও জড়িত ছিলো। নিজ বিভাগের সিনিয়রকে যিনি কোপাতে পারেন তিনি তার পরিবারের যে কাউকেও কোপাতে দ্বিধাবোধ করবেন না বলে আশংকা প্রকাশ করেন তারা।

উল্লেখ্য, গত শনিবার শাবি ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতা মুশফিকুর রহমান ভ’ইয়ার অনুসারি রাজিব সরকারের মাথায় ও পিঠে কুপিয়ে আহত করে সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনের অনুসারিরা।

রাজীবের দাবি, ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদুল ইসলাম রিশাদ, আইপিই বিভাগের মাহবুব শোভন, বাংলা বিভাগের কাওসার আহমেদ সোহাগ, লোক প্রশাসন বিভাগের সুমন মিয়া, সুজন বৈষ্ণব, আব্দুল বারী সজীব, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইফতেখার আহমেদ রানা, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের আমিনুল ইসলাম তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় ও পিঠে কোপায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজীবকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার মাথায় ২৬ টি ও পিঠে ৪০ টির মতো সেলাই করা হয়।
এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর পেশ করেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ এর মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান জানান, হামলার অগ্রগতির বিষয়ে কোনো ধারণা নেই তার।


সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৪ মার্চ ২০১৯/এমকে/এসডি

@

শেয়ার করুন

আপনার মতামত দিন